দেশ

বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা

 বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। প্রথম দফার মুলতুবির পর দুপুরে সভার শুরুতেই অনাস্থা গ্রহণ করেন স্পিকার। তিনি জানান, আমি সব দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আলোচনার দিন ও সময় জানিয়ে দেব। এরপরই তিনি দুপুর ২টো পর্যন্ত লোকসভা মুলতুবি ঘোষণা করে দেন।এদিন প্রত্যাশামতোই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। অন্যদিকে, ইন্ডিয়া জোটের বাইরে থাকা ভারত রাষ্ট্র সমিতিও পৃথক একটি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির উপর সাধারণ মানুষের আস্থা রয়েছে। ওরা এই শেষ লগ্নে অনাস্থা এনেছে। দেশের মানুষই ওদের উচিত শিক্ষা দেবে। এই পরিস্থিতিতে কার্গিল যুদ্ধে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় রাজ্যসভা ও লোকসভায়। তারপরই লোকসভা দুপুর পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায়। বুধবার সকালে প্রথম অনাস্থা প্রস্তাবটি আনেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। তারপর পৃথক আরেকটি অনাস্থা আনেন তেলঙ্গানার বিআরএসের এমপি নমো নাগেশ্বর রাও। তিনি বলেন, দলের তরফে আমরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি। অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করছে। যদি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে বলতেন তাহলে শান্তি ফিরে আসত রাজ্যে।এদিন বিরোধী ঐক্যের সৌজন্যের চিহ্নস্বরূপ কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী দেখা করলেন আম আদমি পার্টির এমপি সঞ্জয় সিংয়ের সঙ্গে। সংসদীয় আচরণ লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজ্যসভা সদস্য সঞ্জয় সিং এবং কংগ্রেস এমপি রজনী পাতিলকে বাদল অধিবেশন থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও হার নিশ্চিত সেটা জানে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া।  লালুর দল আরজেডির এমপি মনোজ ঝা এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা জানি সংখ্যায় আমরা নগণ্য। কিন্তু গণতন্ত্রে সংখ্যাটাই সবকিছু নয়। মণিপুর জ্বলছে এবং সেখানকার মানুষ চাইছেন প্রধানমন্ত্রী কিছু বলুন।