লখনউ সুপার জায়ান্টস: ২১৪/৬ (পুরান ৭৫, রাহুল ৫৫, থুসারা ২৮/৩)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৯৬/৬ (রোহিত ৬৮, নমন ৬২, বিষ্ণোই ৩৭/২)
১৮ রানে জয়ী লখনউ সুপার জায়ান্টস।
আইপিএল থেকে বিদায়ঘণ্টা বহু আগেই বেজে গিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের । বিরাট রানরেটের পাহাড় টপকে কোনও আশাই ছিল না কেএল রাহুলের লখনউয়ের কাছে। ফলে ওয়াংখেড়ের ম্যাচ দুদলের কাছেই ছিল একপ্রকার নিয়মরক্ষার। সেই সঙ্গে লাগাতার বিতর্কে বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে মরশুম শেষে অক্সিজেন পাওয়ার সামান্য আশা। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই লড়াই জিতে নিল লখনউ। ১৮ রানে ম্যাচ হেরে আরও একবার হারের আঁধার গ্রাস করল হার্দিকের মুম্বইকে। এদিন টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক। দলঘোষণায় ছিল একাধিক চমক। প্রথম একাদশে ছিলেন না রোহিত আর বুমরাহ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় জোরে বোলারকে বিশ্রাম দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে আগে জানিয়েছিলেন পোলার্ড। কিন্তু এদিন বুমরাহর বদলে চলতি মরশুমে অভিষেক ঘটল শচীনপুত্র অর্জুন তেণ্ডুলকর। শুরুটা খারাপ করেননি তিনি। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় ওভারেই চোট পেয়ে বাইরে চলে গেলেন। অন্যদিকে লখনউয়ের দেবদত্ত পাড়িক্কল দ্রুত আউট হওয়ার ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন অধিনায়ক রাহুল (৫৫)। স্টোয়নিস, দীপক হুডাদের পর জুটি বাঁধেন নিকোলাস পুরানের সঙ্গে। ক্যারিবিয়ান তারকা নমন ধীরের চার বলে নেন ১৭ রান। মাত্র ২৯ বলে ৭৫ রানে থামল তাঁর বিধ্বংসী ইনিংস। ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে হারিয়ে লখনউ করে ২১৪ রান। শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলা শুরু করেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা রোহিত শর্মা। কিন্তু চতুর্থ ওভার শেষ ওভার আগেই বাধা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। চলতি আইপিএলে যা বেশ কয়েকটি ম্যাচই ভুগিয়েছে। এদিন অবশ্য বৃষ্টির দাপট বেশিক্ষণ রইল না। কিন্তু তার পর শুরু হল রোহিতের ব্যাটে চার-ছক্কার বৃষ্টি। শেষ কয়েক ম্যাচে তাঁর ব্যাটে রানখরা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হবে, তা নিয়েও চিন্তায় ছিল ভক্তরা। মরশুমের শেষ ম্যাচে ৩৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে যেন সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন হিটম্যান। বল পাঠালেন মাঠের চারদিকে। কিন্তু রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হতেই সেই চেনা মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ফিরে এল। একে-একে ফিরে গেলেন ফিরে গেলেন সূর্যকুমার (০), ঈশান (১৪), নেহাল ওয়াধেরা (১৬)। শেষ ম্যাচেও আশা দেখাতে পারলেন না অধিনায়ক হার্দিক (১৬)। শেষের দিকে একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন নমন ধীর (৫৬)। তখন অনেকটা দেরি হয়ে গেলেও আগামী মরশুমের তারকা হয়ে ওঠার আশার আলো জ্বালিয়ে গেলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ১৮ রানে ম্যাচ হেরে লিগ টেবিলের শেষেই পড়ে রইল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।