৫৮তম জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে আজীবন উর্দু সাহিত্য ও ভাষার পূজারি গুলজারকে। গুলজার তাঁর দীর্ঘ ছবি পরিচালনার পাশাপাশি সাহিত্যের আঙিনাতেও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। কবিতায় তিনি নতুন একটি ধারার উদ্ভাবক। তাঁর সৃষ্ট ‘ত্রিবেণী’ তারই উদহারণ। যেটি তিন লাইনের একটি অ-মুকাফ্ফা কবিতা। গুলজার তার কবিতার মাধ্যমে সবসময় নতুন কিছু সৃষ্টি করেছেন। বেশ কিছুদিন যাহৎ শিশুদের কবিতা নিয়েও কাজ করছেন। পরিচালক-কবি এর আগে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার, পদ্মভূষণ, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, অস্কার, গ্র্যামি-সহ একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের পুরস্কার পেয়েছেন। গুলজার শুধুই ছায়াছবির দুনিয়ায় নয়, সাহিত্যিক মহলেও অত্যন্ত সম্মানিত নাম। তাঁকে তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ উর্দু কবিদের একজন বলে মনে করা হয়। ছয় দশকেরও বেশি কর্মজীবনে তিনি অসংখ্য ছবির জন্য কবিতা ও গান লিখেছেন। তাঁর ঝুলিতে ‘আঁধি’, ‘ইজাজত’, ‘মেরে আপনে’, ‘পরিচয়’, ‘মৌসম’, ‘লেকিন’, ‘মাচিস’-এর মতো হিট ছবি। জ্ঞানপীঠ নির্বাচন কমিটি বলেছে, “দু’টি ভাষার বিশিষ্ট লেখকদের (২০২৩ সালের জন্য) পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় সংস্কৃত সাহিত্যিক জগদগুরু রামভদ্রাচার্য এবং সুপরিচিত উর্দু সাহিত্যিক শ্রী গুলজার।”