‘দুধ মাঙ্গো তো ক্ষীর দেঙ্গে, বাঙ্গাল মাঙ্গো তো চির দেঙ্গে’, নেতাইয়ের বিশাল জন সভা থেকে বিজেপিকে কড়া হুশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনও নেতা যদি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন, আর যদি তা সামনে আসে, তাহলে সেই নেতাকে হুগলি সেতু দিয়ে কলকাতায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেই ধরনের নেতা কর্মীদের জন্য কলকাতায় ঢোকার রাস্তা বন্ধ বলেও জানিয়ে দেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যাতে কোনও নেতাই সম্পর্ক না রাখেন, তা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন মদন মিত্র। এদিন মদন মিত্র নেতাইয়ের সভা থেকে জানিয়ে দেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কোনও তৃণমূল নেতা কিংবা কর্মী কোনও রকমের সম্পর্ক রাখতে পারবেন না। তিনি বলেন, কানে আসছে অনেকেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এদিন মদন মিত্র শুভেন্দু অধিকারীকে পাল্টা দেন তিনি বলেন, মেদিনীপুর থাকবে তৃণমূলেরই হাতে। এর আগে একাধিক সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন অবিভক্ত মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনই বিজেপি পাবে। এদিন তার পাল্টা দিতে গিয়ে মদন মিত্র বলেন, মেদিনীপুর তৃণমূলেরই হাতে থাকবে। তবে তার জন্য প্রত্যেক সাতদিনে, তাঁকে যেন একবার করে ঝাড়গ্রাম-সহ মেদিনীপুরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে মদন মিত্র বেইমান হুঁশিয়ারি স্লোগানও দেন।মদন মিত্র এও বলেন নরকেও জায়গা হবে না শুভেন্দু অধিকারী। কেননা তিনি বলেছেন, নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও অবদান নেই। এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতারা। তিনি বলেন, যা করেছেন সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মদন মিত্র বলেন, অশ্বথামা হত, ইতি গজ, বলার জন্য সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরকেও শাস্তি পেতে হয়েছিল। তিনি বলেন, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। মদন মিত্র বলেন, শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন তৃণমূলকে ঘেন্না করেন। তা তাঁর বাবা তো এখনও তৃণমূলে আছেন, তাহলে কি বাবাকেও ঘেন্না করেন, প্রশ্ন করেন তিনি। মদন মিত্র বলেন, আপনার মা তো তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন, তিনিও তো সরে যাওয়ার কথা বলেননি, তাহলে কি মাকেও ঘেন্না করেন। শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে মদন মিত্র বলেন, তিনি (শুভেন্দু) যে কাজ করেছেন, তার জন্য তাঁর নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল। এদিন নেতাইয়ের সভা থেকে মদন মিত্র দাবি করেন, রাজনৈতিক জীবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঁচটা বছর হাসপাতালে থাকতে হয়েছে। বাড়িতে ছটা ভাই, কুড়ি জনের সংসার। সেই পরিবার থেকে একজন সাংসদ। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুমতি চান, পরের সভার দায়িত্ব যেন তাঁকে দেওয়া হয়। তাহলে তিনি এলাকায় দুটি মিছিল বের করবেন। তিনি বলেন, যদি বাপের বেটা হয়, তাহলে যেন মোকাবিলা করে।