কলকাতা

হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণ করতে গিয়ে চোট পাওয়ার পর এসএসকেএমে নিয়ে আসা হল মুখ্যমন্ত্রীকে

বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জলপাইগুড়ির মালবাজারে দলীয় সভা শেষ করে হেলিকপ্টারে করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। হেলিকপ্টার বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গলের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়ে। কাঁপতে থাকে হেলিকপ্টারটি। সেই সময় হেলিকপ্টারটিকে আর বাগডোগরার দিকে নিয়ে না গিয়ে তৎক্ষণাৎ বায়ুসেনার সঙ্গে যোগাযোগ করে সেবক এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করানোর সিদ্ধান্ত নেন পাইলট। বায়ুসেনার বেস ক্যাম্পে জরুরি ভিত্তিতে অবতরণ করে। সেবকে সেনা ছাউনিতে হেলিকপ্টারের জরুির অবতরণ করতে গিয়ে চোট পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আসা হল এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সূত্রের খবর, পায়ে এবং কোমরে চোট লাগে মুখ্যমন্ত্রীর৷ সেবকের সেনা ছাউনিতেই তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়৷ এর পর বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় পৌঁছনোর পর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ যদিও হুইলচেয়ারে তৈরি রাখা হলেও কিছুটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেঁটেই হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ঢোকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর পায়ে আঘাত

লেগেছে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোমরেও চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগে থেকেই হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, কলকাতার নগরপাল সহ পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা৷ ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে৷ যদিও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হবে নাকি আজই ছেড়ে দেওয়া হবে, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি৷ অর্থোপেডিক, ফিজিক্যাল মেডিসিন, নিউরো মেডিসিন সহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা মুখ্যমন্ত্রীর চোট পরীক্ষা করে দেখছেন৷এ দিন জলপাইগুড়িতে সভার পর হেলিকপ্টারে বাগডোগরা আসছিলেন তিনি৷ কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে মাঝ আকাশে আচমকা দুর্যোগের মধ্যে পড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার৷ ঝুঁকি না নিয়ে সেবকের সেনা ছাউনিতে হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন দুই পাইলট৷ জরুরি অবতরণের সময়ই প্রবল ঝাঁকুনিতে আঘাত লাগে মুখ্যমন্ত্রীর৷