কলকাতা

‘আদালতকে বোঝাতে হবে’, আইনমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

গত কয়েকদিন ধরেই সরকারি জমি দখল নিয়ে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বারবার তাঁর মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়ার কথা । বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে হকারদের নিয়ে বৈঠকেও আরও একবার এই বিষয়টি উঠল মুখ্যমন্ত্রীর কথায় । তবে এ ক্ষেত্রে আদালতের সমর্থন নিয়েই তিনি এগোতে চান বলে জানালেন ৷ আর এ নিয়ে আলোচনার জন্য আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটির পরামর্শ দিয়েছেন । যেই কমিটিতে আইনমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি । একইসঙ্গে, এই কাজের ক্ষেত্রে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টিতে এগোতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী । এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে, সংঘাত নয় জীবন বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে তাঁর সরকারকে, এটাই বোঝাতে হবে আদালতকে । মমতার কথায়, “এমন অনেক বাড়ি আছে যেগুলি অনেক পুরনো বাড়ি । যে কোনও সময় সেগুলো ভেঙে পড়ে মৃত্যু হতে পারে । অনেক মার্কেট আছে যেগুলি দেখলে আমার ভয় লাগে । অনেকে বাজার করতে গিয়ে মারা যাবে, আমি বলে দিলাম । ইমিডিয়েট যদি সংস্কার না-হয় । প্রয়োজনে আদালতকেও বোঝাতে হবে, মানুষের জীবনের থেকে তো বড় কিছু হতে পারে না ।” এখানেই শেষ নয় ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আদালত নিয়ে মৃদু সমালোচনাও শোনা যায় । একুশে জুলাই তৃণমূল সভা করে বলে, সেখানে অন্য রাজনৈতিক দলকেও সভা করার সুযোগ করে দিয়েছিল আদালত । সেটা নিয়েই মমতা বলেন, “ধর্মতলা ব্লক করা যাবে না । আমরা একটাই অনুষ্ঠান বছরে করি, সেটা হল একুশে জুলাই । যেহেতু সেখানে অনেকগুলি মানুষের রক্ত পড়ে আছে । আদালত তো আমাদের জন্য আবার সিপিএম, বিজেপিকেও সেখানে সভা করার অনুমতি দিয়েছে । আদালত তো বলবে, ওখানে 13টি ছেলের খুন হয়েছিল বলে ওখানে অনুষ্ঠানটি করা হয় । খাদ্য আন্দোলনের স্পটে প্রত্যেক বছর বামেরা অনুষ্ঠান করে । আমি তো বাধা দিই না । অন্য কেউ সেখানে সভা করার অনুমতি পায় না । “মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “সবাইকে অ্যালাও করলে রাস্তাটা চলবে কী করে ! হাইকোর্টের সামনে যদি হকার বসে যায় তাহলে কি হাইকোর্টের লোকেরা যাতায়াত করতে পারবে ! এখন তো দেখছি নবান্নের ভেতরেও ঢুকে মিটিং করার পারমিশন হয়ে যাচ্ছে ! এটা রাজনীতির বিষয় নয়, এখানে অনেক সেনসিভিটির বিষয় রয়েছে ।”