কলকাতা

নাম না করে রাজ্যপালকে ‘ঘোড়ার পাল’ বললেন কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

 রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । নাম না-করে তাঁকে ঘোড়ার পাল বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি । রাজ্যে রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করে। যার অন্য মাত্রা পায় গত সোমবার। যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান তিনি রাজ্যপালকে ব্লক করেছেন। যার পরিবর্তে সেদিনই রাতে মমতা বন্দনায় টুইট করেন রাজ্যপাল ধনকড়। বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে রাজ্যপালকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে নাম না করে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘এক ঘোড়ার পালকে পাঠিয়েছে রাজ্য শাসন করতে। আগে মাউন্টেন পুলিশ ঘোড়ায় চড়ত জানি, ওমা তাঁরাই চিনে গেল নতুন এক ঘোড়ার পাল রাজ্যে এসেছে। ২৬ শে জানুয়ারির দিন দেখেছিলাম সেই ঘোড়ার পালকে। আমাদের মাউন্টেড পুলিশরা রেগে গিয়েছে ওই ঘোড়ার পালকে দেখেই। সকাল নেই সন্ধে নেই, দূরবিন নিয়ে বাড়ি থেকে বসে রাজ্যে খুন, ধর্ষণ খুঁজে যাচ্ছে। আর আমাকে টুইটারে গালিগালাজ করছে। কখনও আমার টুইট হোয়াটসঅ্যাপ পাঠিয়ে দিচ্ছে আর খালি কৈফিয়ত চাইছে।’ সুর চড়িয়ে মমতা আরও বলেন, ‘মা ক্যান্টিন চলছে গরীব মানুষেরা দু’বেলা খাচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন করছে। কেন হবে? কোথা থেকে হচ্ছে? আর কথায় কথায় বলছে দেখ লেঙ্গে, আমাকে চমকাচ্ছে। আমি একজন কাউন্সিলরকে ভয় পায় নি উনি কে? দশ বার দলবদল করেছে। যখন তখন আমাদের মুখ্যসচিব কিংবা অফিসারদের তলব করছে। আইন দেখাচ্ছে, আমরাও আইন জানি।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চোখা চোখা বাক্যবাণ যে রাজ্যপালকে উদ্দেশ্য করেই, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের । কারণ, সাধারণতন্ত্র দিবসে মুখ্যমন্ত্রী কোনও কথা বলেননি রাজ্যপালের সঙ্গে । সেই ছবি সবাই দেখেছে । কাজেই নাম না-করলেও এই আক্রমণের গতিমুখ কোন দিকে ছিল, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উপস্থিত কারও ।