কলকাতা

অনেক সহ্য করেছি, এবার ৮ জনকে জেলে ভরব: মুখ্যমন্ত্রী

লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকমাস বাকি। তার আগে বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে দলের নেতা-কর্মীদের লড়াইয়ের রূপরেখা স্থির করে দিলেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মেগা বৈঠক থেকে এক তিরে বিজেপি-সিপিএমকে প্রবল আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায় কয়লা-গরু পাচারের টাকা সব যায় বিজেপির ঘরে। আর বাম আমলে নরকঙ্কালের মালা পরে বসেছিল সিপিএম। তাদের মুখে তৃণমূলের সমালোচনা মানায় না। বিএসএফ, কোল ইন্ডিয়া-সহ এ ধরনের সব সংস্থা কেন্দ্রের অধীন। গরু আসে মধ্যপ্রদেশ-উত্তরপ্রদেশ থেকে সেখানে কাদের সরকার? বিএসএফ, সিআইএসএফ কার অধীন? প্রশ্ন ছুড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “গরু কাদের আন্ডারে? বিএসএফ। কাদের অর্গানাইজেশন? কেন্দ্র। গরু পাহারা দেয় কারা? সীমান্ত পাহারা দেয় কারা? বিএসএফ। গরু আসে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে। গাড়ি পাসের সময় তোমরা টাকা খাও না? ল্যাভেঞ্চুস খাও।” কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কয়লা ধুলেও যাবে না ময়লা। এগুলো কার অধীনে? কেন্দ্র। এগুলো বারবার বলুন। মিথ্যা বারবার বলে সত্যি করা হয়। আমরা

সবাই চোর? দুর্নীতি দেখাচ্ছে। আর সেখানে শিখিয়ে টাকা দিয়ে বলা হচ্ছে, বলো তৃণমূল চোর। না বললেই রেড করবে।” দলনেত্রী নির্দেশ দেন এইসব সত্য যেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সবার সমানে প্রকাশ করেন। কতগুলি টিভি চ্যানলে সন্ধে হলেই বলবে তৃণমূল চোর, টাকা দিয়ে কোল বসাবে যাদের কাজ এই সব বলা- তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির এজেন্সিরাজ আর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের জন্যই তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রী জেলে। এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “আমাদের কয়কজন নেতা জেলে। আপনারা যখন ক্ষমতায় থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন সেলে!” নাম না করে শুভেন্দু-সহ গদ্দারদের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “গদ্দাররা বলছে ওমুক দিন ওমুক নেতার বাড়িতে যাবে। আর সেদিন ইডি-সিবিআই পৌঁছে যাচ্ছে”। তৃণমূল সুপ্রিমো হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ”ওরা আমাদের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, বালু-সহ ৪ জন বিধায়ককে জেলে ভরে রেখেছে। ভাবছে এই ভাবে সংখ্যাটাকে কমিয়ে দিই। এবার থেকে আমাদেরও সিদ্ধান্ত, চুরির জন্য বদনাম দিয়ে ওরা যদি আমার ৪ জনকে জেলে রাখে আমি তাহলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি তাদের বিরুদ্ধে যা খুনের কেস আছে আমি ৮ জনকে জেলে ভরব।”