গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তূতি খতিয়ে দেখতে এদিন সাগরভূমিতে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুরিগঙ্গা খনন করে গভীরতা বাড়ানো হয়েছে। কুম্ভ মেলায় যাতায়াত করে বাসের মাধ্যমে, রেলের মাধ্যমে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা খুব কঠিন। আগের বার ৮০ লক্ষ লোক এসেছিল। নদী পারাপার করে নিয়ে আসা খুব কঠিন কাজ। এবার মেলায় ২১টি জেটি, ২৫০০ বাস, ১০০টি লঞ্চ, ১০ টি ভেসেল ব্যবহার করা হবে। সাগর আইসিইউ এর ব্যবস্থা করা থাকবে। আমাদের লক্ষ্য সাগর মেলাকে ইকো ফ্রেন্ডলি করা। কেউ কোনও প্ররোচনা দিলে যাতে সেই প্ররোচনায় পা না দেয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কুম্ভ মেলায় কেন্দ্র সাহায্য দেয়। গঙ্গাসাগর মেলা কুম্ভ মেলার থেকে বড়ো মেলা। এখানে এই মেলায় জল পেরিয়ে আসতে হয়। এই গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন কেন্দ্র স্বীকৃতি দিল না, জানি না। কেন্দ্র একটা টাকাও দেয় না। সবটাই আমরা করি। কুম্ভ মেলাকে কেন্দ্র টাকা দেয়।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ নামখানা, পাথরপ্রতিমার ৭০০ কোটি টাকা প্রকল্প এর উদ্বোধন হবে। আজ রাজীব কুমার ডিজি এসেছেন। তিনজন প্রাক্তন চিফ সেক্রেটারিকে কাজে লাগিয়েছি। সাগর ও তার আশেপাশে এর প্রায় ১৬০ কোটি টাকা প্রকল্প এর উদ্বোধন হয়েছে। এবার ও মেলার প্রাঙ্গণকে আলোর বর্ণমালায় সাজানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই মন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছি। ৯ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত সবাইকে ৫ লক্ষ টাকা করে বিমা এর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তীর্থকর মুকুব করা হয়েছে। আমি একসময় গঙ্গাসাগর আসতাম। দেখতাম কিছুই নেই। ছোটবেলায় শুনতাম সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার। এখন সবাই বলে সব তীর্থ একবার গঙ্গাসাগর বারবার।”