কলকাতা

ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণে সরকারী চাকরীর ঘোষণা, আগামীকাল আহতদের দেখতে ফের ওড়িশা যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

শুক্র সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগায় মর্মান্তিক ও ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়ে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। সেই দুর্ঘটনায় রেলের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২৮৮। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি। মৃতদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৯০জন এ রাজ্যের বাসিন্দা হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন। পাশপাশি আহতদের মধ্যে ৫০০’র বেশি মানুষ এ রাজ্যের বাসিন্দা। গত শুক্রবার সন্ধ্য়ায় ওডিশার বালাসোরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে রাজ্যের মৃতদের পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শনিবার সকালে কপ্টারে বালেশ্বরে উড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা। এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ওডিশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু একজনের সরকারী চাকরী দেওয়া হবে।  পাশাপাশি নবান্নে মমতা জানান, বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় বঙ্গের যে সকল যাত্রীরা আহত হননি কিন্তু মানসিক আতঙ্ক বা ট্রমার মধ্যে রয়েছেন রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের ১০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া তাঁদের পরিবার পিছু আগামী তিন মাস ২,০০০ টাকা এবং ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হবে। এই আহতদের মধ্যে শতাধিক মানুষ এখনও ভর্তি আছেন ওড়িশার কটক ও ভুবনেশ্বরে হাসপাতালে। এদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। এদেরকেই আগামীকাল দেখতে ওড়িশা যাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার যে ৯০জন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৭৩ জনের দেহ এক এক করে  ফিরছে বাংলায়। এদিন দুপুরে নবান্নের কাছে বিদ্যাসাগর সেতুর টোলপ্লাজায় এই রকম ৪টি দেহ পৌঁছালে তাতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান যে, আহতদের দেখতে আগামিকাল ওড়িশা যাচ্ছেন। কটক ও ভুবনেশ্বরের যে সব হাসপাতালে বাংলার আহতেরা ভর্তি রয়েছেন তাদের তিনি দেখতে যাবেন। একই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের হাতে ও আহতদের হাতে আগামী বুধবার আর্থিক সাহায্য তুলে দেবেন। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই চেক প্রদানের অনুষ্ঠান হবে।  জানা গিয়েছে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী যে ৪জনের দেহে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁরা হলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার কুলপির বাসিন্দা অনিমেষ মণ্ডল, সাগরের বাসিন্দা স্বপ্না প্রামাণিক, বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী এবং বারুইপুরের বাসিন্দা সৌরভ রায়। তাঁদের আত্মীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।