আজ, বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুর্শিদাবাদের দ্বারকা নদীর উপর নির্মিত নতুন সেতুর উদ্বোধন করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ জেলার রণগ্রামে দুই লেনের সেতুটি তৈরী হয়েছে। ২ লেন বিশিষ্ট সেতুটি ১০৫ মিটার দীর্ঘ। এই সেতুটির ফলে কমপক্ষে ১ লক্ষ মানুষ এতে উপকৃত হবেন বলে মনে করছে সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাঘর থেকে সেতুটির ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন দুপুরে নবান্নের সভাঘরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ডিজি-সহ সরকারের মন্ত্রী, আধিকারিকরা এদিন উপস্থিত ছিলেন সেখানে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুধু চারিদিক গেরুয়া করে তোলার প্রকল্প করে না তৃণমূল সরকার। কান্দির বড় একটি সেতুতে ৩২ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। মুখ্যসচিব এই বিষয়ে জানান, দ্বারকা নদীর উপর নতুন সেতুটি বানানো হয়েছে। বহরমপুর-কান্দি-সুলতানপুর রাস্তার উপর রানাগ্রাম সেতু বলা হয়। পুরনো একটি সেতু ছিল। নতুন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে খরচ পড়ছে ৩২ কোটি টাকা। এই সেতু নির্মাণের ফলে উপকৃত হবেন সেখানের স্থানীয় মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সকলকে অভিনন্দন। বিধায়ক অপূর্ব সরকার, সামসুজ্জাহ বিশ্বাস, সভাধিপতি, সুরিন্দর সিংহ, পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত রয়েছেন ওখানে। যারা এই সেতুটি তৈরিতে যুক্ত, আশাকরি ভাল কাজ করেছেন। সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। মানুষের সুবিধা হবে। উন্নত হবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এভাবেই মুর্শিদাবাদ, মালদার ওদিকের জায়গাগুলিতে আটকে থাকা কাজগুলি ধীরে ধীরে করে দিচ্ছি আমরা।’ এদিন নবান্ন থেকে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেন। রাজ্যের ৫৬টি হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে এমআরআই সেন্টারের উদ্বোধন হয়েছে। খরচ পড়ে ৪ কোটি। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ৫৫ কোটি টাকা খরচে ১২০ শয্যার জি প্লাস টু বিল্ডিং গড়ে তোলার কথা বলা হয়। কলকাতার মেডিকা হাসপাতালে ক্যান্সার হাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১০. ৪ কোটি প্রকল্প ব্যয় বালুরঘাটে জেলা হাসপাতালে পিপিপি মডেল, ১.৫ কোটির টেসলা এমআরআই সেন্টার, ৩.৪২ কোটি টাকা ব্যয় করে ইসলামপুরে এসডিএইচ- এ সিটি স্ক্যান মেশিন, ৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে টার্শিয়ারি, ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারে ১২০ শয্যা বিশিষ্ট জি প্লাস টু ভবন নির্মাণ, ৪১.৮৩ কোটি প্রকল্প ব্যয়, বীরভূমের সাঁইথিয়াতে একটি বিপিএইচসি ও পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে একটি আরএইচ-এর আপগ্রেডেশন, ১২.১২ কোটি টাকা ব্যয় ১১টি হাসপাতালে ২৪শয্যা বিশিষ্ট হাইব্রিড সিসিইউ, ৫০ কোটি টাকা ব্যয় ৫৬ টি হাসপাতালে কুড়ি শয্যা বিশিষ্ট বাড়তি ওয়ার্ড, ২.৭৫ কোটি প্রকল্প ব্যয় তিনটি হাসপাতালে ব্লাড কম্পনেন্ট সেপারেশন ইউনিট, ২.৫ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ে দুটি জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ, ৬৭ লক্ষ টাকা ব্যয় বিভিন্ন জেলায় আয়ুষ বহির্ভাগ নির্মাণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।