বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা থেকে ফেরার পথে আঘাত পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা শেষে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য সড়ক পথেই ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়ই ঘটে এই ঘটনা। এরপর কলকাতায় ফিরে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক সেরে বেরিয়ে এদিনের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আজ প্রায় মরেই যেতাম। আমার গাড়ির সামনে একটা গাড়ি চলে এসেছিল। প্রায় ২০০ কিমি বেগে। ড্যাশবোর্ডে মাথা ঢুকে গিয়েছে। এখনও মাথা ঘুরছে। গা বমি বমি ভাব আছে। জ্বর জ্বর লাগছে। ওষুধ খেয়েছি।” বিকেলে কলকাতায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। ঘড়িতে তখন সাড়ে পাঁচটা। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে বৈঠক। কীভাবে দুর্ঘটনা? রাজভবন থেকে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না, একটা কোনও গাড়ি, আমি দেখতে পাইনি গাড়িটাকে। আমি যখন বেরোচ্ছিলাম, একটা গলি দিয়ে বেরোচ্ছি তো। গাড়িটা খুব দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল। আমাকে প্রায় পিষেই দিয়ে দিত। মানে পুরো মরেই যেতাম ওখানে’। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমার গাড়ি যে চালাচ্ছিল, ও সঙ্গে সঙ্গে ব্রেকটা কষে। বুদ্ধিমানের কাজ করেছে ব্রেকটা কষে। ব্রেকটা যখন কষেছে, পুরো ড্যাশবোর্ডটা এসে আমার মাথায় লেগেছে। তখন একটা সংঘর্ষ হয়েছে এবং কিছুটা রক্তও পড়েছে। কিছুটা ফুলেও আছে। সারা মাথায় ব্যথা হচ্ছে’। তাঁর কথায়, ‘কাচটা খোলা ছিল। কাচটা যদি বন্ধ থাকত তাহলে ওই ড্যাশবোর্ডটা কাচ সমেত আমার সারা শরীরে ঢুকে যেত। গাড়ি চুরমার হয়ে যেত। কোনওরকমে মানুষের আর্শীবাদে রক্ষা পেয়েছি’।