জেলা

জয়নগরে তৈরি হবে মোয়া হাব, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

আজ ৯ই জানুয়ারী ২০২৪ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-১ ব্লকে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস এবং সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এদিন মঞ্চ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্ধোধন, শিলান্যাস এবং পরিষেবা প্রদান করেন তিনি। জানা গিয়েছে, মোট ৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জয়নগরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন, ‘জয়নগরের বিধায়ক আমায় প্রচুর মোয়া দেয়। আমি খেলে সেগুলো মোটা হয়ে যাব। তাই বিলিয়ে দিই। বিভাস আমায় অনেক ফল পাঠায়। ওরা ভাবে সব আমি খাই। কিন্তু আমি তো একবার সকালে খাই। একটু চা খাই। আর রাতে সামান্য কিছু। এটা অনেক দিনের অভ্যাস। জয়নগরের মোয়া বিশ্ব বিখ্যাত। জিআই পেয়েছে। সকল কারিগরদের শুভেচ্ছা। আড়াই কোটি টাকা দিয়ে জয়নগরে মোওয়া হাব হবে। সুন্দরবনের মধুও জিআই ট্যাক পেয়েছে। এখানকার প্রোডাক্টের নাম দিয়েছিলাম সুন্দরিনী। জেলার মুকুটে দুটি স্বর্ণ পালক পেল। এই জেলাকে ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়ে যাচ্ছি।’ এদিন কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে পঞ্চাশ লোকের বাড়ি তৈরি হয়েছে। আমরা কেন্দ্রের কাছে ২৯ হাজার কোটি টাকা পাই। ভোটের সময় ভেদাভেদ করতে আসে। তাই বাড়ি তৈরি যাদের বাকি আছে তাদেরও বাড়ি দেব টাকা পেলে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এখনও যার ওঠেনি তাঁরা নাম লেখান। দুয়ারে সরকার ও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কাছে নাম লিখিয়েছেন। পরিষেবা পাননি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আমরা তাদের জন্য সুখবর ঘোষণা করব। আমায় কয়েকটাদিন সময় দিন। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলছেন মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে মেটাবে। অনেকে বলছে হাম ঘর ঘর মে জল দেতা হ্যায়। নেহি দেতা হ্যায়। ঘরে জল মা মাটি মানুষের সরকার দেয়। ২০২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে টার্গেট করেছি সব বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল যাবে। ১৯ লক্ষ্য মানুষের বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়া হবে।’ সিএএ নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভোটার কার্ড থেকে ওরা নাম বাদ দিয়ে দেবে। আগে গিয়ে নাম তুলুন। নাহলে ক্যা ক্যা করে করবে। ভোটার কার্ড থেকে নাম বাদ দিয়ে দেবে। সংখ্যালঘুদের জন্য মেটিয়াবুরুজে বড়ো টেক্সটাইল হাব তৈরি করেছি। তারা দর্জির কাজ ভাল করে। পড়াশোনায় উন্নত হচ্ছে। আমার সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপের মেয়েরা আছে। সব থেকে বেশি সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপ বাংলায় আছে। দেশের মধ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়নে বাংলা প্রথম। এখানে কবরস্থান, তীর্থস্থান, শশ্মান সব উন্নত হচ্ছে।’