দেশ

‘আমায় শেখানোর প্রয়োজন নেই’, দুর্গত বাংলাদেশিদের ‘আশ্রয়’ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

ওপার বাংলার দুর্গতরা এপার বাংলায় আশ্রয় চাইলে তাঁদের ঠাঁই দেওয়া হবে। এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য তীব্র বিরোধিতা করেছিল বিদেশ মন্ত্রক। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, ঢাকার তরফে এই সম্পর্কিত একটি চিঠি তারা পেয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কিত কোনও বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে কেবলমাত্র নয়াদিল্লির। সেভেন্থ শিডিউলের লিস্ট ওয়ান ইউনিয়ন লিস্টের আইটেম নম্বর ১০ অনুযায়ী আমাদের সংবিধান জানাচ্ছে, পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কিত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার।’ প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ মমতার এই মন্তব্যের তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল বললেন বাংলাদেশে যা হচ্ছে তাতে যদি কেউ এসে তাঁর দরজায় কড়া নাড়েন তবে তিনি সাহায্য করবেন। পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেবেন তাঁদের। মমতাজি আপনিই সেই মানুষ যিনি CAA-এর বিরোধিতা করেছেন। অর্থাৎ সমস্যায় থাকা কোনও হিন্দু, শিখ, পারসি কিংবা খ্রিস্টানকে আপনি বাংলায় প্রবেশ করতে দেবেন না।’ এর পাল্টা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ নিয়ে যা বলেছেন BJP সেটিকে বিকৃত করে পরিবেশন করছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তিনি প্রথমেই বলেছেন, এটা বাংলাদেশের বিষয়, তিনি কিছু বলবেন না। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ভারত সরকার। তবে কেউ যদি আশ্রয় চায় সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের নীতি অনুযায়ীই তিনি আশ্রয় দেবেন। তার মানে তো দরজা খুলে নিয়ে যাকে-তাকে ঢুকতে দেবেন না। সীমান্তের দরজা খুলে দেওয়ার অধিকার বাংলার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা বলেননি। BJP মিথ্যাচার করছে। নয়াদিল্লি যদি সীমান্ত দিয়ে কাউকে এ দেশে আসার অনুমতি দেয় আর সে ক্ষেত্রে যদি আশ্রয়ের প্রয়োজন হয় তবেই তা করবে বাংলার সরকার।’