ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার ৬ দিনের মাথায় রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরিষদীয়, শিল্প-বাণিজ্য ও তথ্য-প্রযুক্তি দফতর থেকে বৃহস্পতিবার সরিয়ে দেওয়া হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিন নবান্নে ক্যাবিনেট মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারপরই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এদিন নবান্নে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি জানান, পার্থবাবুর হাতে থাকা ৩টি দফতরই এখন আপাতত তিনিই দেখবেন। পরে এই দফতর অন্য কারোর হাতে তুলে দেওয়া হবে।রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের পর প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, “আজকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রিলিজ করে দিয়েছি । আমাদের দল খুব কঠোর দল। অনেক কিছু প্রতিকূলতার
মধ্যেও আমাদের কাজ করতে হয়। যা চলছে তার মধ্যেও খেলা আছে। অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে তৃণমূলের মহাসচিবের পদ থেকে এবং দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের যে বৈঠক ডেকেছেন সেখানেই এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে নবান্নে খুলে ফেলা হল পার্থ চট্টোপাদ্যায়ের নেমপ্লেট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মন্ত্রিসভা থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দিতেই, নবান্ন থেকে মুছে ফেলা হল তাঁর নাম! রাজ্য প্রশাসনের হেড কোয়ার্টার নবান্নের দোতলায় ছিল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘর। এই দোতলাতেই প্রেস কর্নার। ঠিক তার উল্টোদিকেই ছিল মন্ত্রী প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা পরবর্তীতে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রীর ঘর। শুক্রবার বিকালে সেই ঘরের দরজা থেকে খুলে ফেলা হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেমপ্লেট।