গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় এবার সরাসরি বাম-বিজেপিকে দায়ী করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সরাসরি অভিযোগ, ওই দিনের হামলা এবং ভাঙচুরের পিছনে বিরোধীরাই দায়ী৷ শুধু তাই নয়, বিরোধীদের বিরুদ্ধে ‘এভিডেন্স লুট’ করার অভিযোগ তোলেন তিনি৷ জানালেন, ‘‘ফ্লোর ভুল করায় বুঝতে পারেনি৷’’ শুক্রবার দুপুর ৩টে নাগাদ আর জি কর কাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবিতে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন শতাব্দী রায়, জুন মালিয়া, মহুয়া মৈত্র সহ দলের অন্য নেতা, বিধায়ক, সাংসদও৷ মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে মঞ্চেও নিজের পাশে দলের মহিলা বাহিনীকেই রেখেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ এদিন তাঁর বক্তৃতার পরতে পরতে ছিল বিরোধী বাম-বিজেপিকে আক্রমণ৷ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করের জরুরি বিভাগে যে ভাঙচুর চালানো হয়েছে তার পিছনে দায়ী বিরোধীরাই৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘গিয়েছিলেন রাতের বেলা এভিডেন্স লুট করতে। মেশিন ভেঙেছেন। সিসিটিভি ভেঙেছেন। ফ্লোর ভুল করায় বুঝতে পারেননি। হাসপাতাল গুন্ডাগিরির জায়গা নয়। হাসপাতাল মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জায়গা। প্রায় ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাম-বিজেপি দেবেন নাকি এই টাকাটা।’’ ঘটনার দিন রাতের পরিস্থিতি নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘‘রাতে ঘটনা ঘটল কী করে? এটাই আমার প্রশ্ন। মেয়েটা রাত একটা অবধি খাওয়া দাওয়া করেছে। তারপর তাঁর কাছে ওষুধের জন্য যায় নার্স। সকাল ৯টা অবধি খোঁজ নিলেন না। যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁরা কী করছিলেন?’’ বিরোধীদের নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘আন্দোলনে আমার জন্ম। আন্দোলনেই আমার মৃত্যু হবে। ক্ষমতা থাকলে রাজা থেকে দিল্লির নেতা আমার গায়ে টাচ করে দেখাক। আমাকে মারবেন? আমাকে গুলি করে মারুন। আপনি জায়গা বলুন। আমি একা যাব। আমার সাথে পুলিশ থাকবে না। কি ভাবছেন আমাকে সরালেই, ফাঁকা জায়গা পেয়ে যাবেন?’’ মমতার কটাক্ষ, ‘‘সিপিএমের হিংসা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপর। আগে নিজেদের ক্ষত সারান৷ দু’টো পা এখন টেম্পোরারি। যত হিংসা, সবকটা আমার উপর। আমরা আদর্শ বিক্রি করে খাই না।… একজন বিজেপি নেতা সিপিকে বলছে রাস্কেল। বিজেপির হাতে কে তামাক খাচ্ছে সিপিএম, সবাই। আমাদের মহিলা ক্ষমতায়ন বোঝাতে হবে না।’’