জেলা

২৫ বছর বয়স হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ভোট ময়দানে দাঁড়িয়েই বড় ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ২৫ বছর বয়স হলেই রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’র জন্য আবেদন করতে পারবেন যে কোনও মহিলা। ৫৯ বছর পর্যন্ত বয়সী মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। ৬০ বছর বয়স হলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রাপকেরা পাবেন বার্ধক্য ভাতা। এক বাড়িতে ৪জন মহিলা থাকলে ৪জনই পারবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করতে। এদিন অর্থাৎ সোমবার কোচবিহার জেলার চান্দামারি থেকেই তৃণমূলের হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট প্রচার শুরু করলেন মমতা। আর শুরুর দিনেই তিনি আক্রমণ শানলেন বিজেপিকে, বিএসএফকে। একই সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের জানালেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প বাংলার বুকে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রকল্প খাতে এখন রাজ্য সরকারের বার্ষিক খরচ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে রাজ্যের মহিলাদের হাতে নগদের জোগান নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি আর্থিক সহায়তা পাঠিয়ে চালু হয়েছিল প্রকল্প। তারপর দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়। সবমিলিয়ে বর্তমানে উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ কোটি। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি ও উপজাতির উপভোক্তারা প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পান। বাকিরা পান ৫০০ টাকা করে। কিন্তু ৬০ বছর বয়স হলেই এই লক্ষীর ভাণ্ডারের প্রাপকেরা পেতে শুরু করেন বার্ধক্য ভাতা। তখন তাঁরা সকলেই ১০০০টাকা করে পান। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোচবিহার জেলাতে ৬৫ হাজার মেয়েকে রূপশ্রীর টাকা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকার বার্ধক্য ভাতার টাকা পাঠানো কমিয়ে দিচ্ছে। আমরা কিন্তু দিয়ে যাচ্ছি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও আমরা চালিয়ে নিয়ে যাব।’ উল্লেখ্য, রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-২ নং ব্লকে প্রচারে গিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি বলেন, ৫০০ টাকা নয়, বিজেপি ক্ষমতায় এলে প্রতি মাসে মহিলারা পাবেন ২০০০ টাকা। এদিন মমতা তাঁর নাম না নিয়েই এই বিষয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন। বলেছেন, ‘এখন আবার বলছে ওরা ক্ষমতায় এলে নাকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৩ হাজার টাকা করে দেবে। আমি বলছি ১৫ লাখ টাকা করে তো দেবে বলেছিল। দিয়েছে? কারও ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে? সব ভাঁওতাবাজি। ওদের কথায় কান দেবেন না। ওরা কোনওদিন কিছু দেয়নি। আগামিদিনেও দেবে না।’