কলকাতা

দিনে কলাপাতায় দোস্তি, রাতে ফাইভস্টারে মস্তি, চোরগুলোকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে, কটাক্ষ মমতার

আজ কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া নেতাদের উদ্দ্যেশ্য বলেন, ‘চোরগুলোকে বিমানে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে। বাংলায় থেকে বাংলার সঙ্গে গদ্দারি। সিরাজদৌল্লাকে মানুষ সমর্থন করেন, মিরজাফরকে নয়। বিজেপিতে অনেক গদ্দাররা যাচ্ছে নিজেদের টাকা বাঁচাতে।’ বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধায় বলেন, সকালবেলায় কলাপাতায় দোস্তি রাতে ফাইফস্টারে মস্তি। দিল্লিতে পেরেক পুতে দিয়েছে। ভোট সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী মমতা এদিন বললেন, ২৫০ র বেশি আসন নিয়ে এলে দিল্লির চেয়ার ঠকঠক করে কাঁপবে। টিভিগুলি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আমায় চমকে ধমকে কিছু করানো যাবে না। আমায় ভালোবেসে বললে ঘর মুছে দেবো। বাসন মেজে দেবো। নিজের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের কেউ বই দিত না। লাইব্রেরি তে গিয়ে টুকে পাশ করেছি, সংসার চালিয়েছি। রান্না করতাম। মাকে কাজ করতে দিতাম না। সিপিএম বিজেপির কথায় কেন এমন করছে! সোনার ডিম পারা হাসের সব ডিম এক সঙ্গে পেতে চাইলে হাস মরে যাবে। আজ সিঙ্ঘু বর্ডারে সৌগত রায় ঢুকতে দেয়নি। এই প্র স ঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসুন একটু বৃহত্তর চিন্তা করি। বিজেপি দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে।আজ সৌগত রায় সিন্ধু গিয়েছিল, ঢুকতে দেয়নি। আমার দুঃখ হয় ত্রিপুরায় কয়েকজন কংগ্রেস গিয়ে বিজেপি কে শক্তিশালী করল। এখানে কেউ যাচ্ছে। কেউ টাকা রাখতে যাচ্ছে। কয়েকজন শিল্পীকে বলা হয়েছে আমাদের হয়ে বলো। আমি বলছি এমন জনদরদি সরকার একটা পাবেন না। বিজেপির আদিবাসী এলাকায় আসনদখল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আদিবাসীদের কাছ থেকে সব সিট নিয়ে গিয়েছে। একটা কিছু করেনি আমরা নাগরিক। উদ্বাস্তু কলোনি করে দিয়েছি। কোভিডের সময় ট্যাব, সাইকেল দিয়েছি। বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজেট কেন্দ্র বলছে ৬৫০ কিমি রাস্তা করবে। আমরা ৮৫০০ কিমি বানিয়েছি। রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা, তৃণমূলের বিকল্প তৃণমূল, তৃণমূলের বিকল্প আরও উন্নততর তৃণমূল। কন্যাশ্রীর মেয়েরা বিজেপিকে ভালো করে বুঝিয়ে দিও। সোনার বাংলা? সোনার ভারত বিক্রি করে দিয়েছে বিজেপি। সভা চলাকালীনই চেঁচিয়ে দাবিদাওয়া জানায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। ওই দাবিদারদের বলেও দিলেন, তিনি ‘ভগবান’ নন। তিনি চাইলেও সব কিছু দিতে পারেন না। তবে সভার শেষে নিজেই তাঁদের মঞ্চে ডেকে নিয়ে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।