কলকাতা

কেন্দ্রীয় সরকার বারবার করে রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, এজেন্সি দিয়ে আধিকারিকদের ভয় দেখাচ্ছেঃ মুখ্যমন্ত্রী

“আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়মে হস্তক্ষেপ করি না । কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বারবার করে রাজ্যের উপরে হস্তক্ষেপ করছে । এজেন্সি দিয়ে রাজ্যের আধিকারিকদের ভয় দেখানো হচ্ছে । সংবিধানের দায়বদ্ধতা কেন্দ্র-রাজ্য উভয়কে মানতে হবে ।” আজ নবান্ন সভা ঘরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এভাবেই কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অমিত শাহর রাজ্য সফরের দিনই আজ নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বৈঠকের একদম শুরু থেকেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তিনি । সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলার জাতীয়তাবোধ ভেঙে দিতে চাইছে । নির্বাচিত সরকারকে ডিঙিয়ে কাজ করা হচ্ছে । বহিরাগতদের বাংলা মেনে নেবে না । ছেড়ে কথা বলবে না বাংলা । চোখরাঙানি বরদাস্ত করবে না । কোনওরকম হুমকির রাজনীতি বরদাস্ত নয় । প্যানডেমিক আইন অধিকাংশ সাধারণ মানুষ মেনেছেন । দু’একটি রাজনৈতিক দল প্যানডেমিক ছড়াচ্ছে । অনুমতি ছাড়া মিছিল করছে । রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের ক্ষতি করবেন না । লক্ষণ-রেখা মানা উচিত ।” এদিকে বাঁকুড়াতে নিমন্ত্রণ খেতে গেছেন বলে নাম না করে অমিত শাহকে কটাক্ষ করলেন মমতা । অন্যদিকে, ১০০ দিনের কাজে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী । এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” ১০০ দিনের কাজে বাংলা 1 নম্বরে । হাওড়া, নদিয়া ও কোচবিহার-সহ কয়েকটি জেলা পিছিয়ে রয়েছে ।” ১৮ নভেম্বর থেকে ভোটার কার্ড সংশোধনী শুরু হওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী । মানুষের সমস্যার যাতে সমাধান হয়, সংশোধনী করতে গিয়ে ফিরে না আসতে হয়, সেই বিষয়টি দেখভাল করার জন্যও পরামর্শ দেন তিনি । আজকের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে গ্রামীণ রাস্তায় ওভারলোড করা গাড়ি চালাতে নিষেধ করেন তিনি । তার বক্তব্য, ” সরকারের ক্ষমতায় আসার পরে ৯ লাখ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে । গ্রামীন রাস্তায় ওভারলোড গাড়ি যাবে না ।” মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়ে দেন, গাইডলাইন মেনে কালীপুজো হবে । তাঁর কথায়, জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরা সবাই ভালো কাজ করছেন । তাই সুস্থতার হার বাড়ছে । মৃত্যু হারও কমছে । বলেন, “সাধারণ মানুষ করোনার নিয়ম মানছেন । দুর্গাপুজো হয়ে যাওয়া সত্বেও আমাদের রাজ্যে করোনা ব্যাপকতা পায়নি । লোকাল ট্রেন যখন চালু হবে, তখনও যেন স্যানিটাইজেশন নিয়মিত করা হয় । আর যেন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয় ।”তিনি এও বলেন, প্রত্যেক জেলা পুলিসকে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার রাখতে হবে।