জেলা

প্রশাসনিক বৈঠকে নদিয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নিয়ে মহুয়াকে ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

রায়গঞ্জের প্রশাসনিক বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন খুব শীঘ্রই পুরভোট হবে জেলায়, তৈরি থাকতে হবে পুর প্রশাসকদের। সেই একই বার্তা বৃহস্পতিবার নদিয়ায় দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই নদিয়াতেও দলের গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক বৈঠকে এই বিষয়ে সাবধান করেছিলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়াণ অধিকারীকে। এবার নদিয়ায় এসে গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে প্রশাসনিক সভায় ধমক দেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। মুখ্যমন্ত্রী মহুয়াকে জানান, ‘মহুয়া এখানে আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। কে কার পক্ষে বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই। আমি সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে অথবা ডিজিটালে অথবা পেপারে দিয়ে দিলাম, এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে চিরদিন নয়। একই লোক চিরদিন এক জায়গায় থাকবে এটাও মেনে নেওয়াটা ঠিক নয়। যখন ভোট হবে পার্টি ঠিক করবে কে লড়বে কে না। এখানে মতপার্থক্যের কোনও জায়গা নেই। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এটা আমি বলে গেলাম।’ এই ধমকের পিছনে মূল কারণ হিসেবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ২০২১-এর নির্বাচনে মহুয়া কিছু বিধায়কের টিকিটের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে মহুয়ার সুপারিশ না মানায় একুশের নির্বাচনে বেছে বেছে দলীয় প্রার্থীদের জন্য প্রচারে নামেন তৃণমূল সাংসদ। এই বিষয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগ জানায় নদিয়ার প্রবীণ নেতারা। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়াকে কাছে পেয়েই ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধুই মহুয়া নন, একই সঙ্গে বিডিও, জেলাশাসক, জেলার ওসি এবং আইসিদেরও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে একসঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।