নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে আমজনতার সঙ্গে মেলামেশা করে পরিষেবা দিচ্ছেন। অথচ তাঁদের জন্য টিকা দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেয়নি কেন্দ্র। এবার সেই সমস্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের টিকাকরণে জোর দেওয়ার আরজি মুখ্যমন্ত্রীর। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার এবং ভোটপ্রক্রিয়ায় সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের আগেই টিকাকরণ করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারীর টিকাকরণের জন্য আরও ২০ লক্ষ ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছে। এর পরই কেন্দ্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আরজি, টিকার পর্যাপ্ত জোগান দেওয়া হোক। যাতে রাজ্যের সকল সরকারি কর্মচারীর টিকাকরণ দ্রুত সেরে ফেলা যায়। শুধু রাজ্য সরকারি কর্মচারী নয়, মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে রেল, বিমানবন্দর, বন্দর, প্রতিরক্ষা, ব্যাংক, বিমা, ডাক, কয়লা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি বিভাগের কথা উঠে এসেছে। মমতার কথায়, এই বিভাগগুলির বহু কর্মী নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ম সাধারণ মানুষের সংস্পর্শে এসে পরিষেবা অব্যাহত রাখছেন। করোনা থেকে সুরক্ষা দিতে তাঁদের দ্রুত টিকা দেওয়ার প্রয়োজন। এর পরই তিনি কেন্দ্রের টিকা নীতি নিয়ে অভিযোগ করে লিখেছেন, এই কর্মীদের দ্রুত ভ্যাকসিনের প্রয়োজন রয়েছেন। অথচ কেন্দ্রীর টিকানীতিতে এই চাহিদা মেটানোর কোনও উপায়ের কথাই বলা নেই। এর পরই তিনি কেন্দ্রের কাছে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন, যাতে দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা হয়।