গত ১১ অগাস্টই সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় তিনটি বিল পেশ করেছিলেন৷ ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’৷ ইতিমধ্যেই এই তিনটি বিলের খসড়া পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে লোকসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে৷ বুধবার এই তিনটি বিল প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ পরিষ্কার জানিয়েদিলেন, ‘ঔপনিবেশিক আইনি ব্যবস্থাকে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করানো উচিত নয়।’ এদিন এক্স হ্যান্ডেলে (আগে ট্যুইটার) মমতা লেখেন, ‘ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের প্রতিস্থাপনের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তৈরি খসড়াগুলি পড়েছি। স্তম্ভিত হয়েছি যে, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে নীরবে অত্যন্ত কঠোর এবং ড্রাকোনিয়ান নাগরিক বিরোধী বিধান প্রবর্তনের একটি গুরুতর চেষ্টা করা হচ্ছে। আগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ছিল; এখন, এই বিধানগুলি প্রত্যাহারের নামে, তারা প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় আরও কঠোর এবং স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থা প্রবর্তন করছে, যা নাগরিকদের আরও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’ এরপরেই মমতা লেখেন, ‘বর্তমান আইনগুলি কেবল আকারে নয়, অভ্যন্তরীণ দিক থেকেও ঔপনিবেশ ধারণামুক্ত হওয়া উচিত।’ কেন্দ্রীয় সরকারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ, ‘ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার এই নয়া ব্যবস্থা প্রণয়নের ক্ষেত্রে গণতন্ত্রের দিকটি গুরুত্ব সহকারে অধ্যয়ন করার জন্য দেশের আইনবিদ এবং জনস্বার্থ আন্দোলনকারীদের খসড়াগুলি দেখতে অনুরোধ করুন।’