চিন, আফ্রিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার নয়া ভ্যারিয়ান্ট বের করায় বুস্টার ডোজে গুরুত্ব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। চিনের সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি নতুন করে মহামারী নিয়ে বুকে কাঁপন ধরিয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রও যথেষ্ট সতর্ক। বুস্টার ডোজ, মাস্ক ব্যবহারে ফের জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, করোনার নয়া স্ট্রেনে সংক্রমণ নিয়ে তেমন চিন্তিত নয় রাজ্য প্রশাসন। করোনার আবহে গঙ্গাসাগর মেলা হবে কি না তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ( প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। সেই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোভিড পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে রাখছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছেন, কোভিডের মাঝেও বিগত বছরগুলিতে সাবধানতা অবলম্বন করে গঙ্গাসাগর মেলা হয়েছিল, এবারও হবে। বড়দিনের উৎসবও হবে। সেই কোভিড বাড়লে বিধি মেনে গঙ্গাসাগর মেলা হবে বলে জানিয়ে দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। বড়দিনের আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের মধ্যে ‘সৌজন্য’ বৈঠক হয় আজ। বৈঠক শেষে মমতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। একইসঙ্গে রাজভবনেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান কোভিভ নিয়ে এখনই এই রাজ্যের মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। এই পরিস্থিতিতে চিনে করোনার বাড়বাড়ন্ত ও কেন্দ্রের করোনা বিধি নিয়ে সতর্কতার পরেই বেড়েছে চিন্তা। প্রশ্ন উঠেছে তবে কী বন্ধ হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা? আজ এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন, ‘করোনা নিয়ে আমরা মনিটরিং করছি। আমরা দেখছি। এখানে যদি আসে আমরা সেইভাবে রাজ্যবাসীকে নিয়ন্ত্রণ করব। কোভিড-এর মধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলা হবে। যাবতীয় সিস্টেম মেনেই হবে।’ রাজভবন থেকে বেরিয়ে রাজ্যবাসীকে ক্রিসমাসের শুভেচ্ছাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।