জেলা

অধীর রঞ্জন চৌধুরী ইন্ডিয়া জোটের একটা বড় গদ্দার : মমতা

কেরালায় কুস্তি, ‌বাংলায় দোস্তি। বুধবার বহরমপুরে দাঁড়িয়ে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটকে বিঁধে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস-বাম জোট প্রার্থী কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং পাশের কেন্দ্র মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়েছেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। আবার কেরালায় বাম ও কংগ্রেস পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। অধীরকে প্রথমে ” গদ্দার” বলে সম্বোধন করেও পরে অধীরের নাম নিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা। দলীয় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের সমর্থনে একটি সভা থেকে অধীরকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, “ইন্ডিয়া (আইএনডিআইএ) জোটের একটা বড় গদ্দার। আমি গদ্দারদের নাম বলি না।” মমতার অভিযোগ, ঘরের ছেলে হয়েও বহরমপুর কেন্দ্রের সাংসদ যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন কোনও কাজ করেননি। অথচ তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মুর্শিদাবাদের জন্য রেললাইন ও ট্রেনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। অধীরকে বিজেপির সহযোগী বলে মমতা বলেন, “বিজেপির সমর্থক এখানে কংগ্রেসের প্রার্থী।” তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “কেরালায় কুস্তি, এখানে দোস্তি। মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়েছেন তাঁর বন্ধু। সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার চেষ্টা।” এরপরেই অধীরের নাম নিয়েই মমতা বলেন, “অধীর বা সেলিম কাউকে জেতাবেন না।” বিজেপি ইভিএম-এ কারসাজি করতে পারে অভিযোগ করে মমতা ইভিএম নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন। ভোটের পর স্ট্রং রুম-এর দিকে খেয়াল রাখার কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি ইলেকশন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি”র “হিজ মাস্টার্স ভয়েস” বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তৃণমূল বহরমপুরে কখনও জেতেনি। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “ইউসুফ পাঠানকে অনেক বড় মুখ করে এনেছি। এবার বদলান, পাল্টান।”