ক্রাইম

ওড়িশায় স্ত্রী ও কন্যাকে খুন করতে ঘরে বিষধর গোখরো সাপ ছেড়ে দিল যুবক

স্ত্রী ও দুই বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার অপরাধে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গেছে, অভিযুক্ত গণেশ পাত্র রাতে স্ত্রী ও কন্যা যে ঘরে শুয়েছিল সেখানে একটি গোখরো ছেড়ে দেন। এক মাস আগের ঘটনায় পুলিশ অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে স্ত্রী বাসন্ত্রী পাত্রর (‌২৩)‌ সঙ্গে প্রায়শই ঝগড়া হত গণেশের। সেই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে স্ত্রীকে খুন করার ষড়যন্ত্র করেছিল গণেশ। ঘটনাটি ঘটে ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গঞ্জামের আধেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা গণেশ। গত ৭ অক্টোবর ঘর থেকে তাঁর স্ত্রী বাসন্তী এবং কন্যা দেবস্মিতার দেহ উদ্ধার হয়। ঘর থেকে গোখরো সাপটিও উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ি এবং গ্রামবাসীদের কাছে গণেশ দাবি করেন যে, গোখরোর ছোবলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানের। দায়ের হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। কিন্তু মেয়ে এবং নাতনির মৃত্যুতে সন্দেহ প্রকাশ করেন বাসন্তীর বাপের বাড়ির লোকজন। বাসন্তীর বাবা জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়ে এবং নাতনিকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় এক মাস পর তদন্তে নামে পুলিশ। গণেশকে আটক করে জেরা শুরু হয়। বার বার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে গণেশ। জানায়, গত ৬ অক্টোবর এক সাপুড়ের কাছ থেকে একটি গোখরো সাপ নিয়ে আসে সে। রাতে স্ত্রী এবং কন্যা ঘরে শুয়ে পড়লে গোখরোটি ওই ঘরে ছেড়ে দেয় সে। গোখরোর ছোবলে মৃত্যু হয় বাসন্তী এবং দেবস্মিতার। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় গণেশকে।