নিজে পেশায় কসাই৷ তামিলনাড়ুতে মাংস কাটার কাজ করত সে৷ শেষ পর্যন্ত নিজের লিভ ইন সঙ্গীকেই ধর্ষণ করে খুন করে তাঁর দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলল ২৫ বছর বয়সি এক যুবক! নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায়৷ নিজের লিভ ইন সঙ্গীর দেহ চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে এসেছিল ওই যুবক৷ কিন্তু একটি কুকুরের মুখে মানুষের কাটা হাত দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তার পরই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে৷ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নরেশ ভেংরা৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুতে থাকার সময় গত কয়েক বছর ধরে ২৪ বছর বয়সি এক তরুণীর সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে ছিল নরেশ৷ ওই তরুণীও ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলারই বাসিন্দা৷ কিন্তু কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরে ওই তরুণীকে না জানিয়েই অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করে নরেশ৷ এর পর স্ত্রীকে না নিয়েই তামিলনাড়ু ফিরে গিয়ে ফের ওই তরুণীর সঙ্গে থাকতে শুরু করে সে৷ ইতিমধ্যে ওই তরুণীও নরেশকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে৷ গত ৮ নভেম্বর ওই তরুণীকে নিয়ে খুঁটিতে ফেরে নরেশ৷ কিন্তু বাড়িতে না গিয়ে ওই তরুণীকে নিয়ে এলাকার একটি জঙ্গল ঘেরা জায়গায় যায় সে৷ সেখানে ওই তরুণীকে অপেক্ষা করতে বলে ধারাল অস্ত্র কিনে আনে নরেশ৷ এর পর প্রথমে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সে৷ তার পর ওড়না গলায় জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে তরুণীকে খুন করে নরেশ৷ প্রমাণ লোপাট করতে তরুণীর দেহ চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টুকরো করে জঙ্গলেই ফেলে আসে অভিযুক্ত৷ যাতে বন্য পশুরা ওই দেহাংশ খেয়ে নিতে পারে৷ এর পর নিজের বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গেই থাকছিল নরেশ৷