শুভেন্দু ছিলেন মালদা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। মৌসম ছিলেন কংগ্রেসে। শুভেন্দুই মৌসমকে নিয়ে এসছিলেন তৃণমূলে। সেই বছর লোকসভা নির্বাচনে মৌসমকে উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিটও দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও সেই নির্বাচনে পরাস্ত হন মৌসম। কিন্তু তাঁকে গুরুত্ব দিয়ে দলে ধরে রাখতে তৃণমূলনেত্রী তাঁকে দলের জেলা সভানেত্রী পদে যেমন বসিয়ে দেন তেমনি করে দেন রাজ্যসভার সদস্যও। মৌসম এখনও মালদা জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী। ফারাক এটাই যে শুভেন্দু আজ বিজেপিতে। এদিন তাঁর বিরুদ্ধেই মৌসমকে নেতৃত্ব দিতে হল দলীয় কর্মসূচির। এদিন মালদা জেলার সদর শহর ইংরেজবাজারে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষিবিল ও মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ‘মেগা রোড শো ও জনসভা’ কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা শোতে পরিণত হয়। দলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর, প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী সহ শীর্ষ নেতারা এদিন অগণিত তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী নিয়ে শহরের রাজপথে মিছিল করেন। মিছিলে বিজেপি বিরোধী স্লোগানের পাশাপাশি ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’, ‘শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো’ আওয়াজও ওঠে। এদিন দুপুর একটায় মালদা শহরের কলেজ মাঠ এলাকা থেকে শুরু হয় যুব তৃণমূলের উদ্যোগে এই মহামিছিল । যার নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের মালদা জেলা সভাপতি প্রসেনজিত্ দাস। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মালদা শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয় তৃণমূলের এই মহামিছিলটি। মিছিলের জেরে এদিন মালদা শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মিছিল শেষে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনের মঞ্চে এদিন একসঙ্গে দেখা গেল প্রাক্তন দুই মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। পাশাপাশি এদিনের মহা মিছিল এবং সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার টাউন তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, দলের জেলার কো-অর্ডিনেটর বাবলা সরকার, অম্লান ভাদুড়ি, মানব বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রী চৈতালি সরকার, প্রাক্তন কাউন্সিলর কাকলি চৌধুরী সহ অন্যান্যরা। কার্যত শুভেন্দু এদিন যেন মিলিয়ে দিয়ে গেলেন গোটা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে।