নয়াদিল্লিঃ সুদর্শন টিভিকে কড়া ধমক দিলো সুপ্রিম কোর্ট। ‘একটি গোটা সম্প্রদায়কে নিশানা করার অধিকার রয়েছে মিডিয়ার?’ ‘ইউপিএসসি জিহাদ’ মামলায় সুদর্শন টিভি-কে কড়া ধমক দিল সুপ্রিম কোর্ট। শো-এর প্রোমো সম্প্রচার হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয় গোটা দেশে। প্রিভিউ ক্লিপে সুদর্শন টিভির দাবি ছিল, সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের অনুপ্রবেশের বড়সড় ষড়যন্ত্র ফাঁস করা হয়েছে এই শো-তে। টুইটারে ভাইরাল হওয়া ওই ক্লিপে চ্যানেলের সম্পাদক সুরেশ চাভানকের অভিযোগ, সরকারি চাকরিতে জায়গা করে নেওয়ার জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বেশি বেশি সংখ্যায় পাশ করানো হচ্ছে মুসলিমদের। এটা বড়সড় একটা ষড়যন্ত্র। মামলা সুপ্রিম কোর্টে গড়ায়। শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বধীন বেঞ্চ বলে, ‘শো সম্প্রচার করাই যেতে পারে। কিন্তু গোটা সম্প্রদায়ের ঘাড়ে দোষ চাপানো যাবে না। ওই সম্প্রদায়ের কেউ সিভিল সার্ভিসে ঢুকলেই আইসিস-এর প্রসঙ্গ টেনে আনা যাবে না। তাঁরা সরকারি চাকরিতে যুক্ত হলেই সেটাই ষড়যন্ত্র হিসেবে ধরে নেওয়াও একধরনের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। এক্ষেত্রে বাক্-স্বাধীনতার মোড়কে ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে। ওই সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষকে নিশানা করতে পারেন না আপনারা। আর যদি কাউকে বাদও দেন, সেক্ষেত্রে বিভাজনের রাজনীতি স্পষ্ট হয়।’ সুদর্শন টিভির পক্ষে আইনজীবী শ্যাম ডিভানের উদ্দেশে বেঞ্চ বলে, ‘কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টাকা ঢালছে কিনা, সেবিষয়ে তদন্তমূলক সাংবাদিকতায় শীর্ষ আদালতের কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু মুসলিমরা ষড়যন্ত্র করছে, একথা একেবারেই বলা যাবে না। এই বার্তা গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হোক। বিভাজনের রাজনীতি করলে দেশ টিকবে না!’ হলফনামায় সুদর্শন টিভির সম্পাদক সুরেশ চাভানকের অভিযোগ বলছেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন টাকা ঢালে জাকাত ফাউন্ডেশনে। প্রসঙ্গত, ইউপিএসসি পরীক্ষায় যেসব মুসলিম পড়ুয়ার বসতে চান, তাঁদের প্রশিক্ষণ দেয় জাকাত ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে শীর্ষ আদালতকে জানান, ‘এটি একটি স্বেস্ছাসেবী সংস্থা। শুধু মুসলিম নয়, অ-মুসলিমদেও ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য তৈরি করে জাকাত ফাউন্ডেশন।’