বিদেশ

এখনও নিখোঁজ, আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনের অবশিষ্ট আর মাত্র ৩০ ঘণ্টার অক্সিজেন

আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে হারিয়ে যাওয়া সাবমেরিনটির এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।কিন্তু সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ‘টাইটান সাবমার্সিবল’ নামের ওই ডুবোজাহাজে আর মাত্র ৩০ ঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট আছে। খবর বিবিসির। সমুদ্রের নিচে পড়া থাকা টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে যাওয়ার কথা ছিল সাবমেরিনটির। কিন্তু গত রবিবার সমুদ্রে ডুব দেওয়ার ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরই সেটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর রবিবার, সোমবার এবং মঙ্গলবার পেরিয়ে বুধবার চলে আসলেও এখনও এটির কোনও সন্ধান মেলেনি। জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওশেনগেটের ডুবোজাহাজটিতে সাধারণত চারদিনের অক্সিজেন মজুত থাকে। বর্তমানে এটিতে আর মাত্র ৩০ ঘণ্টার অক্সিজেন আছে। এই সময়ের মধ্যে জাহাজটির সন্ধান পাওয়া না গেলে- ভেতরে থাকা পাঁচ আরোহীর সবার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসবে।নিখোঁজ ডুবোজাহাজটিতে পাঁচজন আরোহী ছিলেন বলে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে সাধারণ যাত্রী হিসেবে ছিলেন ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তাঁর ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯)।অপরদিকে এটি পরিচালনা করছিলেন ৭৭ বছর বয়সী নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ডাইভার পল-হেনরি নারগোলেট। তিনি এর আগেও টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালে যখন প্রথম টাইটানিক অভিযান হয়েছিল— সেটির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।এছাড়া মর্মান্তিক এ ঘটনার সময় ডুবোজাহাজটির ভেতর ছিলেন ওশেনগেটের প্রধান নির্বাহী ৬১ বছর বয়সী স্টকটন রাস। নিখোঁজ সাবমেরিনটি খুঁজে বের করতে ৭ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে অভিযান চালানো হচ্ছে। রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি যান ডুবোজাহাজের সর্বশেষ অবস্থানে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই যানটিতে একটি শক্তিশালী ক্যামেরা লাগানো আছে।এছাড়া ডুবোজাহাজটি খুঁজে বের করতে বিমান, সরঞ্জাম এবং উদ্ধার অভিযানের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যবহার করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে ফ্রান্সের একটি গবেষণা জাহাজও।