দেশ

দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

দিল্লির বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷ জখম ১২ জন ৷ এনডিআরএফ দল ৬০-৭০ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে ৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ৷ প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থ সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন ৷ মোদি ট্যুইটে লেখেন, পিএম রিলিফ ফান্ড থেকে দিল্লির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা করে। শুক্রবার বিকেলের দিকে মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি চারতলা বাণিজ্যিক বহুতলে আগুন লাগে ৷ বহুতলটির কাছে ৫৪৪ নং পিলারটি রয়েছে ৷ দমকল বিভাগ জানিয়েছে, বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ তারা আগুন লাগার খবর পায় ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৩০টি ইঞ্জিন ৷ আগুন লাগে দোতলার একটি অফিসে ৷ সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা, রাউটার তৈরি হয় ৷ আগুনে দেহগুলি এমনভাবে ঝলসে গিয়েছে যে তারা পুরুষ কি নারী, তাও বোঝা যাচ্ছে না ৷ ডিসিপি সমীর শর্মা জানিয়েছেন, পুড়ে যাওয়া দেহগুলি চিনতে ফরেনসিক টিমের সাহায্য় নেওয়া হবে ৷ একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ কোম্পানির দু’জন মালিক হরিশ গোয়েল এবং বরুণ গোয়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ এই দুর্ঘটনার পর বহুতলের মালিক মনীষ লাকরা বেপাত্তা ৷ রাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ রাত ১০টা ৫০ মিনিট নাগাদ দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন টুইট করে জানান, মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিধ্বংসী আগুন নেভানো হয়েছে ৷ শনিবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৭ ৷ আরও অনেকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেন না ৷ ওই বহুতলে জখম অবস্থায় কিছু লোক এখনও ভিতরে রয়েছেন বলেই খবর ৷ শুক্রবারের ঘটনার পর আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচতে অনেকেই বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন । জখম ব্যক্তিদের দিল্লির সঞ্জয় গান্ধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ 13 মে রাতেই ওই বহুতলে কাজ করতেন, এমন অনেকের আত্মীয় ভিড় করেছেন হাসপাতালে ৷ যেমন অজিত তিওয়ারি তাঁর বোন মনিকার (২১) খোঁজ করছিলেন ৷ তিনি বললেন, “গত মাসে বোন সিসিটিভি ক্যামেরা প্যাকেজিং ইউনিটের কাজে যোগ দেন ৷ বৃহস্পতিবারই তিনি প্রথমবার মাইনে পেয়েছিলেন ৷ আমরা ৫টার সময় আগুন লাগার খবর জানতে পারি ৷ কিন্তু ও জানত না যে অফিসের বাড়িটায় আগুন লেগেছে ৷ ৭টা বেজে গেলেও বাড়ি ফেরেনি বোন ৷ তারপর থেকে ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি ৷”দমকল বিভাগের ডিভিশনাল অফিসার সতপল ভরদ্বাজ বললেন, “আমরা ২৭টি দেহ উদ্ধার করেছি ৷ ১২ জন আহত হয়েছেন ৷ বহুতলটিতে একটিই মাত্র সিঁড়ি রয়েছে ৷ হয়তো সে জন্যই সবাই বের হওয়ার সুযোগ পায়নি, বেরতে পারেনি ৷ আমার মনে হয়, বিল্ডিংটার এনওসি-ও (দমকল বিভাগ থেকে দেওয়া হয়) ঠিকঠাক নেই ৷”