আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের শুরু। বুধবার ভোর থেকে তুমুল বৃষ্টি। মহালয়ের ভোরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই। বাবুঘাট, বাগবাজার, নিমতলা-ঘাটে ঘাটে ধরা পড়ল চেনা ছবি। এদিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ। শহর কলকাতার মতোই চিত্র জেলাতেও। বালুরঘাট, ব্যারাকপুর, উত্তরপাড়া, নদিয়া, বাঁকুড়া গঙ্গাসাগর সহ বিভিন্ন জেলায় চলছে তর্পণ। ঘাটে সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গঙ্গায় চলছে পুলিশের টহলদারি। শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণের দিন। এর পরের দিন থেকে দুর্গাপুজো তথা দেবীপক্ষ শুরু হচ্ছে। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। এই দিনটিতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী না শুনলে দুর্গাপুজো শুরু হয় না। এই অনুষ্ঠানই যেন নিজের সঙ্গে করে দুর্গাপুজোর আমেজ বয়ে আনে। এই ‘ভদ্র’লোকের মোহিনীকণ্ঠও প্রতিবারই গোটা একটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে মহালয়ের ভোরে। কীভাবে যে একটা অনুষ্ঠান একটা গোটা জাতির ইমোশন, নস্টালজিয়া হয়ে উঠল সেটা কেউই বলতে পারবে না। রীতি মেনেই এদিন সব জায়গার গঙ্গার ঘাট গুলোতে দেখা যায় সাধারণ মানুষের উপচে পরা ভিড়। ভোর থেকে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতটেও উপচে পড়ছে পুণ্যার্থীদের ভিড়। শহর কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। এবছরও নদীয়ার নবদ্বীপ শহরের ফাঁসিতলা, রানীর ঘাট, পোড়াঘাট, বড়াল ঘাট সহ প্রায় সকল গঙ্গার ঘাটে ও নবদ্বীপ ব্লকেরও বিভিন্ন গঙ্গার গাটে ভোর হতেই শুরু হয় সাধারণ মানুষের আনাগোনা। ভোর থেকেই দামোদর নদে পিতৃতর্পণে ভিড় সাধারণ মানুষের। বালুরঘাট, কল্যাণীঘাট নয়, চকভৃগু, পরানপুর, কুমারগঞ্জ ও গঙ্গারামপুর, বংশীহারীতে তর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার ভোরে মহালয়ার পূর্ণ তিথিতে বালুরঘাট শহরের কল্যাণীঘাট বা সদরঘাটে শুরু হল তর্পণ।