দেশ

জুবেরের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাট ও বিদেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ, নতুন ৩ ধারায় মামলা দিল্লি পুলিশের

অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরের বিরুদ্ধে এবার প্রমাণ লোপাট ও বিদেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ উঠল। দিল্লি পুলিস ধৃত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নতুন তিনটি মামলা দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ (প্রমাণ লোপাট), ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) এবং বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্তকারীরা জুবেরের মোবাইল ফোন এবং একটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। মহম্মদ জুবেরের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট৷ শনিবার সন্ধ্যায় বিচারক ওই রায় দেন৷ এদিনই চারদিনের পুলিস হেফাজতের মেয়াদ শেষে জুবেরকে আদালতে হাজির করানো হয়৷ তবে এই রায় বেরনোর আগেই দিনভর আদালতে নাটকীয় টানাপড়েন চলে৷ বিচারক রায় দেন সন্ধ্যায়৷ কিন্তু তার অনেক আগেই বেলা ৩টে নাগাদ দু-একটি সংবাদমাধ্যমে ফলাও করে জানানো হয়, জুবেরের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে৷ তাঁর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ তাঁর আইনজীবী সৌতিক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তখন পর্যন্ত বিচারক কোনও রায় দেননি৷ পুলিস উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে সংবাদমাধ্যমকে ভুয়ো খবর পাচার করেছে৷ শনিবারই জুবেরের চার দিনের পুলিস হেফাজতের মেয়াদ শেষ হয়। জুবেরের বিরুদ্ধে এদিন প্রমাণ লোপাট ও বিদেশি অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দিল্লি পুলিস ধৃত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নতুন তিনটি মামলা দায়ের করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ (প্রমাণ লোপাট), ১২০বি (ফৌজদারি ষড়যন্ত্র) এবং বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকারীরা জুবেরের মোবাইল ফোন এবং একটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিসের দাবি, জুবেরের বিভিন্ন বক্তব্য এবং পোস্টে ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে। ওই সব পোস্টের জন্য দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জুবেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতার প্রচার) এবং ২৯৫-এ (ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে বিদ্বেষপূর্ণ কাজ) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়।