খেলা

মুম্বইকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ড সেমি ফাইনালে মোহনবাগান

অতীতে দুই দল সাতবার মুখোমুখি হয় আর তারমধ্যে একবারও জিততে পারেনি মোহনবাগান। আর এবার সেই গাঁট খুলল। মুম্বই সিটিকে পরাস্ত করল সবুজ মেরুন। গতবার দুই দলই চ্য়াম্পিয়ন হয়। মোহনবাগান জেতে ISL আর মুম্বই সিটি জেতে ISL শিল্ড। ফলে দুই শক্তিশালী দলের মধ্যে লড়াই ছিল দেখার মত। আর এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল মোহনবাগান। মুম্বইকে ৩-১ গোলে পরাস্ত করল তারা। সঙ্গে পৌঁছে গেল সেমিফাইনালে। ম্যাচের শুরুটা ভালো করে মোহনবাগান। শক্তিশালী মুম্বইকে পরাস্ত করতে শুরু থেকেই আক্রমণে যায় ফেরান্দোর ছেলেরা। ফলে শুরু থেকেই বলের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। পাল্টা লড়াই দেওয়ার চেষ্টায় থাকে মুম্বই, আর এতেই ভুল করে বসে। ৭ মিনিটে জেসন কামিন্সকে ফাউল করে বসে মুম্বই। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। আর পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি জেসন কামিন্স। তিনি বাঁ দিকের কর্নারে বল রেখে গোল করে যান। এরপর মোহনবাগানের আক্রমণ চলতে থাকে। ১৬ মিনিটে আক্রমণে ওঠে মুম্বই। ছাংতে ভালো জায়গা থেকে বল পেয়ে শট নেন তবে তিনি গোলে রাখতে পারেননি। এরপর চাপ তৈরি করতে করতে ২৮ মিনিটে দুর্দান্ত গোল পায় মুম্বই। বক্সের বাঁ দিক থেকে বল তুলে দেন, বলটা বিশাল কাইথ আটকানোর চেষ্টা করলেও তা তাঁর হাতে লেগে যায়। আর বলটা চলে যায় মুম্বইয়ের পেরেরা দিয়াজের কাছে, তিনি বুক ছুঁইয়ে গোলে বল জড়ান। সমতা ফেরায় মুম্বই। তবে এই সমতা ফেরানো বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মুম্বই। ৩০ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মনবীর সিং। কর্নার থেকে হুগো বোমাস বলটা বাড়ান মনবীরের দিকে, আর মনবীর সহজেই বলটা জালে জড়ান। তবে এই গোলের সময় মুম্বইয়ের রক্ষণ জায়গায় ছিল না। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এরপর প্রথমার্ধে আর গোল আসেনি। তবে প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার পর মোহনবাগান প্লেয়াররা রেফারির প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করেন। কারণ রেফারি যখন বাঁশি বাজান তখন মোহনবাগান আক্রমণে উঠছিল। যদিও রেফারি তাদের আবেদনে সাড়া দেননি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ম্য়াচের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে পিছিয়ে থাকা মুম্বই। তবে পাল্টা লড়তে থাকে মোহনবাগান। এগিয়ে থাকলেও তারা রক্ষণাত্মক মানসিকতায় না গিয়ে আক্রমণে যেতে থাকে। ৫৫ মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করে মুম্বই। আনোয়ার আলি পেনাল্টি বক্সে স্টুয়ার্টকে ট্যাকল করতে যান। পড়ে যান স্টুয়ার্ট। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি দেননি। বেশি তর্ক করার জন্য পেরেরাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আনোয়ার আলি। আশিক কুরুনিয়ানের ক্রসে হেড দিয়ে গোল করেন। এই গোলের সময় অগোছালো দেখা গিয়েছে মুম্বইয়ের রক্ষণকে। অরক্ষিত ছিলেন গোল। ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় শুভাশিস বোসরা। তবে এরপর আর কোনও দলই গোল করতে পারেনি।