মরক্কো – ১( আল নেসরি ), পর্তুগাল – ০
প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়ল মরক্কো। তাও আবার শেষ কয়েক মিনিট ১০ জনের হয়ে গিয়েছিল। তবুও হাল ছাড়েনি উত্তর আফ্রিকার দল। মাত্র ১ গোলের পুঁজি নিয়েই সেমিফাইনালে গেল মরক্কো। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো-ফার্নান্দো স্যান্টোসের ইগোর লড়াইয়ের সুযোগ নিয়ে ইতিহাস গড়ে সেমি ফাইনালে চলে গেল মরক্কো। আর তাই পর্তুগিজ মহাতারকার ক্যাবিনেটে বিশ্বকাপটা অধরাই থেকে গেল। চোখের জলে কাপ যুদ্ধ থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালকে বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে নিয়ে আসা রোনাল্ডো। দুজনের কেউ মুখ ফুটে স্বীকার না করলেও ফার্নান্দো স্যান্টোসের সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিবাদের কথা এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। শেষ ষোলোতে সুইজারল্য্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬-১ গোলে জেতা ম্যাচে, অধিনায়ককে ৭২ মিনিট পর্যন্ত বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন পর্তুগালের কোচ। শেষ আটের ম্যাচেও সেই এক ছবি। এবার নামলেন ৫১ মিনিটে। রুবেন নেভাসের পরিবর্ত হিসেবে। তাও আবার তাঁর দেশ যখন এক গোলে পিছিয়ে রয়েছে। বেলজিয়াম এবং স্পেনকে বিদায় করার পর এবার রোনাল্ডোর পর্তুগালকেও দেশে ফেরার পথ দেখাল মরক্কো। তিনটে বিশ্বমানের দলকে হারায় যারা, তাদের স্যালুট করতেই হবে। শেষ দিকে রোনাল্ডোর একটি শট বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক বোনো। শেষ দিকে লাল কার্ড দেখেন মরক্কোর চেদিরা। শেষ পাঁচ মিনিট পর্তুগাল একজন বেশি নিয়ে খেলল।তাতেও কিছু হল না। শেষের সহজ হেড মিস করলেন পেপে। রীতি মতো লড়াই করে ইতিহাসের জায়গা করে নিল মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জায়গা করল তারা।