মেয়ের মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ১০ দিন ধরে আগলে বসে রইলেন মা ৷ ঘটনার কথা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার শিবপুরের কাসুন্দিয়াতে ৷ তিন বছর আগে স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়ে দীপ্তি মল্লিকের সঙ্গে থাকতেন মা শ্যামলী মল্লিক ৷ দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বসবাস করতেন তাঁরা ৷ তবে গৃহকর্তার মৃত্যুর পর থেকে বাইরে কারওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন না মা ও মেয়ে ৷ মানসিক অসুখে ভুগছিলেন দু’জনেই ৷ বাড়িতে কোনও রোজগেরে লোক না থাকায় বৃদ্ধার ভাইপো সপ্তাহে একদিন এসে খাবার সহ যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে দিয়ে যেতেন ৷ প্রতি সপ্তাহে এলেও, কাজের জন্য গত সপ্তাহে আসতে পারেননি বৃদ্ধার ভাইপো ৷ তারপর রবিবার খাবার দিতে এসে পচা গন্ধ পান ৷ এরপর বাড়ির ভিতরে ঢুকতেই দেখেন পিসতুতো বোন দীপ্তি মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ৷ আর ওঁর মা তা আগলে বসে রয়েছেন ৷ খবর পেয়ে শিবপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ও স্থানীয় বাসিন্দা ও ক্লাবের ছেলেরা মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ কয়েকদিন ধরেই মেয়ে দীপ্তি মল্লিকের কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না । রবিবার এক আত্মীয় খাবার দিতে গিয়ে ঘর থেকে পচা গন্ধ পেয়ে ঢুকে দেখেন মেয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । যদিও বৃদ্ধা মা শ্যামলী দেবী নিজের মেয়ের মৃতদেহের সামনে বসেই দাবি করেন, তিনি জানেন না তাঁর মেয়ে কোথায় চলে গিয়েছে ।