কাপলিং খুলে গিয়ে আলাদা হয়ে গেল নিউ দিল্লি-ইসলামপুর মগধ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। যদিও এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বুঝতে পেরে তড়িঘড়ি যাত্রীবাহী ট্রেনটিকে পাটনা রেল বিভাগের বক্সার-পণ্ডিত দীন দয়াল উপাধ্যায় স্টেশনের মাঝামাঝি দাঁড় করিয়ে দেন চালক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেলের আধিকারিকরা। মেরামতির কাজ শুরু হয়। রেল সূত্রে খবর, ট্রেনটি নয়াদিল্লি থেকে পাটনার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু বিহারের দুমরাও স্টেশন ছাড়ার কিছু পরেই আচমকা ট্রেনটির কাপলিং খুলে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ট্রেনটি দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। যদিও এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে পূর্ব-মধ্য রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সরস্বতী চন্দ্র বলেন, তুরিগঞ্জ এবং রঘুনাথপুর স্টেশনের মাঝে আচমকাই ট্রেনটির কাপলিং খুলে যায়। এর ফলে ট্রেনটি দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি একটি প্রযুক্তি বিষয়ক দলও পৌঁছেছে। দ্রুত যাতে মেরামতির কাজ শেষ করা যায়, সেই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কীভাবে এক দুর্ঘটনাটি ঘটল তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ শনিবার মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় সোমনাথ এক্সপ্রেসের দুটি কামরা। ট্রেনটি ইন্দোর থেকে জব্বলপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। গতকাল ভোরে জব্বলপুর স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের প্রায় ১৫০ মিটার আগে আচমকাই ট্রেনটির সামনের দু’টি কামরা বেলাইন হয়ে যায়। ট্রেনটি ধীর গতিতে থাকায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া গত মাসেই সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটি বারাণসী থেকে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কানপুর ও ভীমসেন স্টেশনের মাঝে আচমকা ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনটির চালকের দাবি, রেল লাইনে রাখা কোনও বস্তুর সঙ্গে আচমকা ইঞ্জিনের ধাক্কা লাগে। তারপরই বেলাইন হয়ে যায় ট্রেনটি। এর আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একাধিক ট্রেন। ঘন ঘন এই রেল দুর্ঘটনার ফলে স্বাভাবিকভাবেই রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।