জেলা

বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের ‘চাপ’ সইতে না পেরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ব্যবসায়ী, বাঁকুড়ার আত্মঘাতী যুবক!

বিশ্বকাপের ফাইনাল। মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে কি ভারত? টান টান উত্তেজনা। আর সেই উত্তেজনার ‘চাপ’ই সইতে না পেরেই মৃত্যু ব্যবসায়ীর। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতে রবিবার নিজের বাড়িতেই পরিবারের লোকেদের সঙ্গে বসে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ফাইনাল ম্যাচ দেখছিলেন ষাটোর্ধ্ব সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। খেলা দেখতে দেখতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তারপর মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর থেকেই ঘামতে শুরু করেছিলেন বৃদ্ধ। বিরাট আউট হতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় সুকুমারের। হাসপাতাল সূত্রে খবর,  খেলা দেখতে দেখতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন সুকুমারবাবু। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রী গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘বিকেলে বাড়ির ছাদের গাছে জল দিয়ে আসেন। জল দিয়ে নীচে এসে ঘরে চেয়ারে বসে ফাইনাল ম্যাচ দেখতে শুরু করেন। কিন্তু  তার কিছুক্ষণের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে যেতেই সব শেষ!’ ওদিকে, বিশ্বকাপে দেশের হার মানতে না পেরে আত্মঘাতী বাঁকুড়ার এক যুবক। আপাদমস্তক ক্রিকেটভক্ত বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বছর তেইশের যুবক রাহুল লোহার। আপাদমস্তক ক্রিকেটভক্ত বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বছর তেইশের যুবক রাহুল লোহার। মেনে নিতে পারেনি দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের হার। মানসিক অবসাদে নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, পেশায় শাড়ির দোকানের কর্মচারী রাহুল গতকাল কাজে না গিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বেলিয়াতোড় সিনেমা হলের সামনে প্রোজেক্টারে খেলা দেখতে বসেছিল। খেলা শেষ হওয়ার পর স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন রাহুল। এরপরই আত্মঘাতী হন। রাত ১১টা নাগাদ রাহুলের ভাই বাড়িতে ফিরে দাদার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা রাহুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেলিয়াতোড় থানার পুলিস দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছে। খেলায় দেশের হারের কারণে মানসিক অবসাদে এই আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।