বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে হাল ছাড়তে নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁকে দলে ধরে রাখার ব্যাপারে সক্রিয় খোদ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। শনিবারই রাজনীতি থেকে বাবুলের আচমকা সন্ন্যাস ঘোষণায় রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন চলছে। শনিবার বাবুলের ফেসবুক পোস্টে ‘অলবিদা’ লিখে রাজনীতিকে বিদায় জানানোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তাঁকে নিয়ে বসেন নড্ডা। দিল্লিতে নাড্ডার বাসভবনে রাত সাড়ে নটা থেকে প্রায় সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বৈঠক হয় দুজনের। সেই বৈঠকে নড্ডা বাবুলকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেন, তাঁকে একদিন সময় দেন ভাবার জন্য। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে ইস্তফা দিতে বারণ করেছেন জেপি নাড্ডা। জেপি নাড্ডা বাবুলকে অনুরোধ করেছেন এই ধরণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য। বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে বাবুল দেখাও করেন জেপি নাড্ডার সঙ্গে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও কথা হয় বাবুলের। শাহ-নাড্ডার সঙ্গে আলোচনায় নিজের ক্ষোভের কথাও জানান আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাহলে কী বাবুল সুপ্রিয়কে বিজেপির হয়ে ফের সক্রিয় রাজনীতিতেই দেখা যাবে নাকি নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকবেন তিনি? বাড়ছে ধোঁয়াশা।সূত্রের খবর, বিজেপি যে বাবুলকে ধরে রাখতে তাঁর সিদ্ধান্ত বদলের জোর চেষ্টা করছে, শুধু তা-ই নয়, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এখনও বাবুলকে দেখা করার সময় দেননি। শেষ পর্যন্ত বাবুল কী করবেন, ধন্দ বজায় রয়েছে। মান-অভিমান মিটিয়ে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির হয়েই মাঠে নামেন কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।