দেশ

বিতর্কের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (NEET-UG) কাউন্সেলিং

অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত হয়ে গেল সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার (NEET-UG) কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিতর্কের মধ্যেও প্রাথমিকভাবে নিটের কাউন্সেলিং চালিয়ে যেতে চাইছিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। তবে এখন অনির্দিষ্টকালের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হল। কবে থেকে ফের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা নিয়ে আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। স্নাতক স্তরের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ার বিষয়টি যেদিন সামনে এল, তার একদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষা মন্ত্রক এবং আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) তরফে জানানো হয় যে নিট পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হলে সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে। যাঁরা সৎ উপায়ে যাবতীয় নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়েছেন, সেরকম লাখ-লাখ প্রার্থীকে ‘গুরুতর বিপদে’ ফেলে দেওয়া হবে। শীর্ষ আদলতে পৃথক হলফনামা দাখিল করে শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয় যে বিভিন্ন রাজ্যে নিটের কারচুপি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শিক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘একইসঙ্গে এটা জানানো হচ্ছে, একটি সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বৃহদাকারে গোপনীয়তা লঙ্ঘন না হওয়ার পরেও পুরো পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার বিষয়টি যুক্তিসংগত হবে না। ইতিমধ্যে রেজাল্টও প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। পুরো পরীক্ষা বাতিল করে দিলে লাখ-লাখ সৎ প্রার্থীকে বিপদের মুখে ফেলা দেওয়া হবে, যাঁরা ২০২৪ সালে পরীক্ষা দিয়েছেন।’ শিক্ষা মন্ত্রকের দাবি, গত ৫ মে ৫৭১টি শহরের ৪,৭৫০টি কেন্দ্রে ২৩ লাখের বেশি প্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। সার্বিকভাবে পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ ওঠেনি। সত্যিকারের যে যে সমস্যা হয়েছে, সেগুলির অবশ্যই সমাধান করা উচিত। কিন্তু স্রেফ ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনওরকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই যে সব মামলা করা হচ্ছে বা দাবি করা হচ্ছে, তা খারিজ করে দেওয়া হোক। নাহলে সৎ প্রার্থীদের অকারণে বিপদের মুখে পড়তে হবে। সেইসঙ্গে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, এনটিএয়ের মাধ্যমে কীভাবে স্বচ্ছভাবে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার আয়োজন করা যায়, সেটা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন রা হয়েছে। কীভাবে পরীক্ষা প্রক্রিয়া আরও মজবুত করা যায়, কীভাবে ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করা হয়, কীভাবে এনটিএয়ের কর্মপদ্ধতি আরও ভালো করা যায়, সেইসব বিষয় নিয়ে পরামর্শ দেবে ওই কমিটি।