একাধিক জায়গায় পর পর ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছে । যদিও বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশি তৎপরতায় সাফল্য পায়নি ডাকাত দল । তবে শহরতলির একাধিক জায়গায় পরপর একই রকমে ঘটনা ঘটনায় তৎপর হল লালবাজার ।জানা গিয়েছে, কলকাতা পুলিশের নগরপালের তরফে শহরের থানাগুলির অফিসার ইন-চার্জদের কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে । সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকাগুলি ডেপুটি কমিশনারদের কাছেও পাঠানো হয়েছে । নির্দেশিকা অনুযায়ী, কোন কোন থানার অধীনে কোন কোন ব্যাঙ্ক রয়েছে, তার একটি তালিকা থানাগুলিকে জমা দিতে হবে তাদের বিভাগীয় ডিসির কাছে । পরে সেই তালিকা ডিসি-রা পাঠাবেন লালবাজারে । চলতি সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তথ্য লালবাজারে জমা দিতে হবে। ব্যাঙ্ক এবং সোনার দোকানের তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীদের ডিউটির সময় ও ধরণ পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে । এছাড়া থানাগুলির পাশাপাশি ২৫টি ট্রাফিক গার্ডের ইন-চার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইন-চার্জদের বলা হয়েছে, প্রত্যেক ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্টদের আরও বেশি করে তৎপর হতে হবে। বাড়াতে হবে নজরদারি । কয়েকদিন আগে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । রানিগঞ্জের ঘটনা সামনে আসার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে হাওড়া ডোমজুড় এলাকায় অপর একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা সামনে এসেছে । এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ ৷ তবে এলকার সমস্ত রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরা এবং সোনার দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷ এবার এই সমস্ত ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিতে তৎপর লালবাজার ৷