কলকাতা

বাংলার মানুষের জন্য নয়া অ্যাপ ‘দিদির দূত’ এবং তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’-এর ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বছর ঘুরলেই লোকসভার নির্বাচন ২০২৪ সালে। ঠিক তার আগে বাংলার জনসংযোগে জোর দিতে এবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পের ধাঁচে তৃণমূল দলীয় স্তরে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ নামে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করল। দুয়ারে সরকার ছিল সরকারি কর্মসূচি, সুরক্ষাকবচ হল দলীয় কর্মসূচি। সামনে আনা হল ‘দিদির দূত’ নামে নতুন অ্যাপ। নতুন সুরক্ষাকবচ প্রকল্পে বলা হল, দলের তিন লক্ষ কর্মী দু কোটি পরিবারের ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছবেন। আগামী ৬০ দিন ধরে চলবে এই কর্মসূচি। সর্বস্তরের মানুষ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুয়োগ-সুবিধা পাচ্ছেন কি না, তা খতিয়ে দেখবেন দলের ওই কর্মীরা। সুযোগ-সুবিধা না পেলে মানুষকে তাঁরা সাহায্য করবেন। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, ৩৫০ জন কর্মীকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাত্রিবাস করতে হবে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, দিদির দূত নামে এই নয়া অ্যাপের মাধ্যমে ১৫টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মিলবে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস

উপলক্ষে সোমবার নজরুল মঞ্চে এক সভায় এই নতুন কর্মসূচি এবং অ্যাপ চালু করার কতা ঘোষণা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । একটি নতুন লোগো উদ্বোধন করেন তৃমমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের এই সভা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। শাসকদলের তরফে আগেভাগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, ২ জানুয়ারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিন খুব বড় ঘোষণা করা হবে। পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগেইএই ধরনের জনসংয়োগ কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই বিষয়টি খোলসা করে দেন। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকারের কাজ তিন চতুর্থাংশ হয়ে গিয়েছে। আরও কিছু মানুষের কাছে আমরা পৌঁছতে পারিনি। এই ক্রমসূচির মাধ্যমে আমরা ১০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাব। এটা তো ভালো কর্মসূচি। অনেকেই লিখতে, পড়তে জানেন না। ছিকমতো ফর্ম ফিলআপ করতেও পারেন না। দলীয় কর্মীরা তাঁদের এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন।