খেলা

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখল নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে জিতল কিউয়িরা।‌ প্রথমে ব্যাট করে ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২৩.২ ওভারে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। ১৬০ বল বাকি থাকতে বিশাল জয় কিউয়িদের।‌ প্রথম চার ম্যাচে জয়ের পর, টানা চার ম্যাচে হার। এদিন মরণ-বাঁচন ম্যাচ ছিল উইলিয়ামসনদের। এই জয় নিউজিল্যান্ডের শেষ চারে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখল। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে কিউয়িরা।‌ রানরেট +০.৭৪৩। এক ম্যাচ কম খেলে ৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করে পাঁচে পাকিস্তান। রানরেট +০.০৩৬। দুই দলের মধ্যে রানরেটে বিশাল পার্থক্য। অর্থাৎ শনিবার ইডেনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে শুধু জিতলেই চলবে না, বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে। যা খুবই কঠিন।  বৃহস্পতিবার টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই ধাক্কা খায় লঙ্কা। ৭০ রানে ৫ উইকেট হারায়। কুশল পেরেরা ছাড়া টপ এবং মিডল অর্ডারের কোনও ব্যাটার রান পায়নি। শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে দ্রুততম অর্ধশতরান করেন কুশল। ২টি ছয় এবং ৯টি চারের সাহায্যে ২৮ বলে ৫১ রান করেন। শেষদিকে গুরুত্বপূর্ণ ৩৮ রান যোগ করেন মহেশ থিকসানা। শেষ ৫ উইকেটে ১০১ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা। তারমধ্যে শেষ উইকেটে ৪৩ রান যোগ হয়। ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। একদিনের বিশ্বকাপে ৫০ উইকেট নিলেন নিউজিল্যান্ডের পেসার। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে নিউজিল্যান্ড। ৮৬ রানে প্রথম উইকেট হারায়। ৪২ বলে ৪৫ করে আউট হন ডেভন কনওয়ে। কম রান তাড়া করতে নেমে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন রচীন রবীন্দ্র।‌ ৩টি চার এবং ছয়ের সাহায্যে ৩৪ বলে ৪২ রান করেন। রান পাননি কেন উইলিয়ামসন (১৪)। ৩১ বলে দ্রুত ৪৩ রান তুলে কিউয়িদের জয় নিশ্চিত করেন মিচেল। রানরেট বাড়াতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লক্ষ্যে পৌঁছতে চায় নিউজিল্যান্ড। যার ফলে ৫ উইকেট হারায়। কিন্তু ২৩.২ ওভারের মধ্যে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় কিউয়িরা। অন্যদিকে,  শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের সহজ জয়ে মাথায় হাত পড়ল পাকিস্তানের। একতরফা ম্যাচে যেভাবে শ্রীলঙ্কাকে দুরমুশ করল নিউজিল্যান্ড তাতে বাবর আজমদের সেমিতে ওঠার আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল।