জাতীয় তদন্তকারীর সংস্থার নজরে এবার বাংলার দুই যুবক। কারন, দুই যুবকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত আর্থিক লেনদেন চলছিল পাকিস্তানে্র কারোর সঙ্গে। কেন সেই টাকা যায় আর কার কাছে যায় সেটা তদন্ত করতে নেমে শুক্রবার দুপুরে তদন্তকারীরা হানা দেন এ রাজ্যের হুগলি জেলার তারকেশ্বরে। যদিও ততক্ষনে পগারপার সন্দেহভাজন দুই যুবক। তাই তাদের নাগাল এদিন পাননি এনআইএ’র আধিকারিকেরা। তবে সব জায়গায় চলছে তাঁদের খোঁজ। এদিনের এই ঘটনার জেরে যেমন হুগলি জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তেমনি বিজেপির হাতেও অস্ত্র উঠে এসেছে। দলের জেলা নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনার জন্য এদিন আবারও রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, হুগলি জেলার আরামবাগ মহকুমার তারকেশ্বর থানার মোজাপাড়ার বাসিন্দা নাজিব বেশ কিছুদিন ধরেই এনআইর’র নজরে ছিল। তদন্তে নেমে তার বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় এনআইএ। সেই সময়েই তাঁরা নাজিবের সঙ্গী সাদ্দামের কথাও জানতে পারেন। সাদ্দাম ও নাজিব পাকিস্তানের চর হিসেবে কাজ করত। এদের মাধ্যমে একাধিকবার লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করা হয়েছে পাকিস্তানের অ্যাকাউন্ট থেকে। সেই টাকা আবার অন্যত্র পাঠিয়েছে ওই ২ যুবক। এই তথ্য হাতে পাওয়ার পরই এদিন মোজাপুরে দুই যুবকের বাড়িতে যান এনআইএ’র আধিকারিকরা। যদিও অভিযুক্তদের দেখা পাননি। প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, প্রায় ২ মাস আগেই বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে নাজিব। তবে ছেলে যে পাকিস্তানের চর, তা মানতে নারাজ নাজিবের পরিবার।