দেশ

আয়করের ঊর্ধ্বসীমা অপরিবর্তিত, ৭৫ বছরের বেশি বয়সী পেনশনভোগীদের আয়কর মকুব

আয়করের ঊর্ধ্বসীমায় কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে ২০২১-২০২২ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে বয়স্কদের আয়করে বিশেষ সুবিধে দেওয়া হল। ৭৫ বছরের উপরে প্রবীণ পেনশনভোগীদের আয়কর সম্পূর্ণ মকুব করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সোমবার সংসদে বাজেট পেশ করার সময় জানান, আয়করে বড় ছাড় পাবেন প্রবীণরা। ৭৫ বছর ও তার বেশি বয়সের পেনশনভোগীদের প্রাপ্ত সুদের উপর কর সম্পূর্ণ মকুব করার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে । শুধু তাই নয়, তাঁদের জমা দিতে হবে না আয়কর রিটার্নও। গৃণঋণের সুদ ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত করা হয়েছে। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা মিলবে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরের আয়কর কাঠামো অনুযায়ী, যাঁদের আয় আড়াই লাখ টাকা বা তার নিচে ছিল, তাঁদের কোনও আয়কর দিতে হত না৷ আড়াই লাখ টাকা থেকে যাঁদের আয় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল, তাঁদের ৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হত৷ 5 লাখ টাকা থেকে যাঁদের আয় ৭.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল, তাঁদের ১০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হত৷ ৭.৫ লাখ টাকা থেকে যাঁদের আয় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল, তাঁদের ১৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হত৷ 10 লাখ টাকা থেকে যাঁদের আয় ১২.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল, তাঁদের 20 শতাংশ হারে আয়কর দিতে হত৷ ১২.৫ লাখ টাকা থেকে যাঁদের আয় ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ছিল, তাঁদের ২৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হত৷ যাঁদের বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকার থেকে বেশি তাঁদের ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হত৷ এর সঙ্গে বিনিয়োগের উপর নির্ভর করে আয়কর ছাড়ের বিষয়টিও রাখা হয়েছিল৷ তবে এটা ছিল আয়করের নতুন কাঠামো৷ এর আগে যে কাঠামোতে আয়কর নেওয়া হত, সেটাও বজায় রাখা হয়েছিল গত বছরের বাজেটে৷ তবে কোন কাঠামোতে কে আয়কর দেবেন, তা আয়করদাতার উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল৷ তবে নতুন আয়কর কাঠামোতে যাঁরা কর দেবেন, তাঁরা চাইলে আবার পুরনো কাঠামোতে ফিরে আসতে পারবেন৷ এমন সুযোগও দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু সেটা একবারের জন্যই প্রযোজ্য ছিল৷