অধ্যক্ষের কাছে শপথ নিয়ে সঙ্কটে দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার৷ সূত্রের খবর, রাজভবন চিঠি দিয়ে জানিয়েছে শপথ-অসংবিধানে তাঁদের হতে পারে ফাইনও৷ প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল ডেপুটি স্পিকারকে দিয়ে শপথবাক্য পাঠ করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ কিন্তু, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান৷ এক্ষেত্রে, বিধানসভার রুল বুকের দু’নম্বর চ্যাপ্টারের ৫ নম্বর ধারা অনুসারে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল বিধানসভার তরফে। আজ, সোমবার চিঠি দিয়ে তাঁদের এই শপথকে অসংবিধানিক আখ্যা দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিন দুপুরে দুই বিধায়ককে মেল করে তাঁদের শপথ যে সংবিধানসম্মত নয়, সে কথা জানানো হয়েছে। এদিন রাজভবনের তরফে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভাষায় বলে দেওয়া হয়েছে যে, কোনওভাবেই রুলবুকের দু’নম্বর চ্যাপ্টারের পাঁচ নম্বর ধারা রাজ্যপালের ক্ষমতার ঊর্ধ্বে হতে পারে না। এক্ষেত্রে, রাজভবনের নির্দেশ না মানার জন্য তাদের জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। এদিন মোট ৩৭টি বিষয় উল্লেখ করে কী কী হতে পারে সে বিষয়ে বিধায়কদের জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে, জানানো হয়েছে সঠিক পদ্ধতিতে শপথ না নিয়ে বিধানসভার অধিবেশনে অংশগ্রহণ করলে প্রতিদিন তাদের ৫০০ টাকা করে ফাইন হতে পারে। গোটা ঘটনায় যারপরনাই বিপাকে দুই বিধায়ক৷ চিঠি পাওয়ার পরই তারা সরাসরি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছেন। তাঁরা এই বিষয়ে অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপ চাইছেন। অন্যদিকে, আগামিকাল, মঙ্গলবারই বিধানসভায় শপথ নিতে চলেছেন চার নতুন বিধায়ক৷ রাজভবনের আপত্তি সত্ত্বেও চারজন নতুন বিধায়ককেই শপথবাক্য পাঠ করাবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে আগামিকালই শপথ নেবেন মানিকতলার বিধায়ক সুপ্তি পাণ্ডে, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর৷ পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘শপথ হবেই। বিধানসভাও আইন মেনে চলে। সেখানে উল্লেখ করা আছে ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকারের ক্ষমতা। ধারা অনুযায়ী এই শপথ করানো হয়েছে। আসলে এই রাজ্যপাল হলেন খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি। উনি দিল্লির বাবুদের কথায় চলেন।’’