দেশ

উত্তরপ্রদেশে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনে হিংসা-সংঘর্ষে মৃত ১, আটক ৩০

দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষে প্রাণ গেল একজনের ৷ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও খবর ৷রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলার মাহসি এলাকায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় ৷ ঘটনায় গোপাল মিশ্র নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে খবর ৷ মূল অভিযুক্ত সলমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ ঘটনায় অন্তত ৩০ জনকে আটক করেছে। এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা হারদি থানা এলাকার মহসি মহারাজগঞ্জ বাজার পার করার সময় ডিজে বাজানে নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এরপর বচসা চরমে পৌঁছলে পুজো উদ্যোক্তাদের একজন গোপাল মিশ্র গুলিবিদ্ধ হন ৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ এরপরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় যায় ৷ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ৷ এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যারা বাহরাইচ জেলার মাহসিতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করবে তাদের ছাড়া হবে না। নিরাপত্তা সবার জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে ৷ যাদের অবহেলার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ”পুলিশ গোপাল মিশ্রের দেহ তাঁর পরিবারের কাছে তুলে দেওয়ার সময়ই এলাকার লোক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভও শুরু করে তারা। মহারাজগঞ্জ বাজার, রেহুয়া মনসুর গ্রাম এবং আশেপাশের প্রায় 25টি গ্রামের লোকজন এই বিক্ষোভে যোগ দেয়। ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ কমিশনার, জেলাশাসক, আইজি, ডিআইজি-সহ পুলিশের ঊচ্চপদস্থ আধিকারীকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। হিংসায় সুধাকর তিওয়ারি (45), সত্যবান (40), অখিলেশ বাজপেয়ী (55), বিনোদ মিশ্র (60) এবং লাল বিশ্বকর্মা (55)-সহ 12 জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন বলে খবর। তাদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ বেশ কয়েকজনকে বেসরকারি হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এছাড়াও, 25 সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ ৷ অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ। শহরের হাসপাতাল চত্বরে বেশ কয়েকটি দোকানে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় ৷ বিধায়ক অনুপমা জয়সওয়ালের বাড়ির সামনেও চলে বিক্ষোভ ৷ বিক্ষোভকারীরা বিধায়কের অফিসেও ভাঙচুর চালায় বলে খবর ৷ পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সুপার বৃন্দা শুক্লা জানান, হারদি থানা এবং ফাঁড়ির দুই পুলিশ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হয়েছে ৷