শহরে ফের বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম্য৷ শনিবার রাতে দ্রুতগতিতে থাকা সাদা রঙের একটি হন্ডা সিটি’র ধাক্কায় প্রাণ হারালেন ১ ব্যক্তি৷ সেই সঙ্গে আরও ৬ জন গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন ৷ দুর্ঘটনাটি ঘটে যাদবপুরে৷ গাড়িটি যাদবপুর থেকে বাঘাযতীনের দিকে যাচ্ছিল ৷ ঘটনার সময় গাড়িতে চালক সহ মোট ৩জন ছিলেন ৷ পুলিশ ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে ৷ সেই সঙ্গে ৩জনকেই গ্রেফতার করেছে। মৃতের নাম থমাস সামি কর্মকার ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি একটি হোটেলে ম্যানেজারের কাজ করতেন ৷ ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৩জনের মধ্যে গাড়ির চালকের নাম রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বয়স ৩০বছর ৷ তিনি কয়েকদিন আগেই বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছেন ৷ শনিবার রাতে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে তিনজন ফিরছিলেন ৷ পুলিশের অনুমান বন্ধুর বাড়ি থেকে পার্টি করে ফিরছিলেন তাঁরা ৷ গাড়িতে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও বাকি দু’জনের মধ্যে একজন যুবতী ছিলেন ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়িটি অত্যধিক গতিতে ছিল। নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় বাইকে ধাক্কা মারে গাড়িটি। বাইকটি চালাচ্ছিলেন থমাস সামি কর্মকার ৷ ওই বাইকে তাঁর সঙ্গে এক কিশোরীও ছিল ৷ সেও গুরুতর জখম হয়েছে ৷ বাইকে ধাক্কা মারার পর রাস্তার উপর গোল হয়ে পাক খেতে থাকে ৷ যার জেরে গাড়ির ভিতরে থাকা আরোহীরা সামনের উইন্ড স্ক্রিনের উপর ছিটকে পড়েন ৷ তাঁরাও সামান্য চোট পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ ঘাতক গাড়িটি ফুটপাতে উঠে পড়ে এবং দু’টি দোকানে ধাক্কা মারে ৷ যে ঘটনায় মোট ৬জন আহত হয়েছেন ৷ আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ৷ এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের এফএসটিপি (ফ্যাটাল স্কোয়াড ট্রাফিক পুলিশ) ৷ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির সামনের অংশ সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ গাড়িটি কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক দল পরীক্ষা করবে ৷ প্রমাণ হিসেবে গাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ পাশাপাশি, মূল অভিযুক্ত রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে ৷ তাতে দুর্ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে, আরটিও আইন, অনিচ্ছাকৃত খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ৷