বিজেপি সাংসদের ফেসবুক পোস্টে হামলার ইঙ্গিত ছিল!
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বুধবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ জানাবে এই প্রতিনিধি দল। দলে থাকবেন ডেরেক ও ব্রায়েন এবং অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। মমতার এই আহত হওয়ার ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “চক্রান্ত তো বটেই, না হলে আক্রান্ত হবেন কি করে।” এই ঘটনাকে তৃণমূল বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, “একজন মুখ্যমন্ত্রী নিজের কেন্দ্রে আক্রান্ত হচ্ছেন, এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” পার্থর আরও অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে রাজ্যের ডিজিপিকে সরিয়ে দিল, তার পরের দিনই এই ঘটনা ঘটল কিভাবে। এছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায় এও বললেন, বিজেপি সাংসদের ফেসবুক পোস্টে হামলার ইঙ্গিত ছিল।অবিলম্বে ব্যাবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাতেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত রেয়াপাড়া মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরোনোর পরে গাড়িতে ওঠার সময় তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হঠাৎ করেই ধাক্কা দেয় ৪/৫ জন অপরিচিত ব্যক্তি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মমতা পড়ে যান গাড়ির ভিতরে। এখানেই না থেমে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা মমতার গাড়ির দরজা সপাটে বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গুরুতর আহত মমতা গাড়ির সিটের ওপরে পড়ে যাওয়াতে বাইরে থাকা বাঁ পায়ের ওপরেই সজোরে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করার ফলে বড় ধরনের চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। ভিড়ের মধ্যে আচমকা ধাক্কা দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। আঘাত লাগে বাঁ পায়েও। সেইসময় ঘটনাস্থলে পুলিশের কেউ ছিল না বলে অভিযোগ। ছিলেন না বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেহরক্ষীরাই কোনও রকমে তুলে গাড়িতে নিয়ে যান মমতাকে। মুখ্যমন্ত্রীর মাথায়, কপালে এবং পায়ে চোট লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। তাই প্রচার মাঝপথে বন্ধ রেখেই কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তাঁকে। কিন্তু পথেই অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করেন মমতা। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে একটি দোকান থেকে বরফ নিয়ে তাঁর পায়ে দেওয়া হয়। গোটা ঘটনায় ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। মমতা বলেন, ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পিছনে ষড়যন্ত্র ছিল। বুধবার হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন মমতা। সেখানে গাড়ি নিয়ে একাধিক মন্দিরদর্শন সারতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সব শেষে রেয়াপাড়ায় যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন, সেখানকার রানিচকের একটি মন্দিরে হরিনাম-সঙ্কীর্তন শুনতে যান। সেখান থেকে বেরনোর সময়ই ভিড়ের মধ্যে থেকে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সামনে এসেছে।