কলকাতা

‘বকেয়া বেতন মিটিয়ে শিক্ষামিত্রদের কাজে ফেরান’, নির্দেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের

শিক্ষামিত্রদের জন্য সুখবর। অবিলম্বে শিক্ষা মিত্রদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিয়ে কাজে ফেরানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আজ শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। তবে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষা মিত্রদের কাজ করার অধিকার আছে বলে সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আর তাতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে শিক্ষা মিত্রদের মধ্যে। বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর দেওয়া নির্দেশ বহাল রাখলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে ডিভিশন বেঞ্চের আজকের এই রায়ে শিক্ষামিত্রদের ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করার ক্ষেত্রে আর কোনও সমস্যা থাকল না। ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল এই ইস্যুতে ঐতিহাসিক রায়দান করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ। সেটাই এবার সিলমোহর পড়ল ডিভিশন বেঞ্চে। বাংলার পিছিয়ে পড়া, স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে ২০০৪ সালে সর্বশিক্ষা অভিযানের আওতায় শিক্ষা মিত্র নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। যখন এই কাজ তাঁরা শুরু করেছিলেন তখন মাসিক ২৪০০ টাকা করে ভাতা পেতেন শিক্ষামিত্ররা। দালত সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস থেকে শিক্ষামিত্রদের ভাতা বন্ধ করে দেয় রাজ্য সরকার। এমনকী ৬০ বছরের আগেই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়। তখন এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। বকেয়া বেতন এবার মিটিয়ে সবাইকে আবার কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেটা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করা হয় ডিভিশন বেঞ্চে। তাতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৩ সাল থেকে শিক্ষা মিত্রদের পদ পাল্টে দিয়ে সরকার তাঁদের স্বেচ্ছাসেবক করে দেন। এছাড়া কেন শিক্ষা মিত্ররা ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবে না?‌ এই প্রশ্ন তুলে এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের হয়। তাতে সিঙ্গল বেঞ্চের পর ডিভিশন বেঞ্চে সিলমোহর পড়ায় শিক্ষা মিত্ররা পারবেন ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করতে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। ওই মামলাতেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে বহাল রেখে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, বকেয়া বেতন মিটিয়ে শিক্ষা মিত্রদের দ্রুত কাজে ফেরাতে হবে।