পেগাসাস ইস্যুতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যসভায় বিবৃতি দেওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর। দুপুর দু’টোয় রাজ্যসভায় তিনি বলতেও শুরু করেছিলেন। মিনিট তিনেক বলার পরেই তার আসনের দিকে ছুটে যান তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। মন্ত্রীর বিবৃতির কপি কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গেই তুমুল হইচই শুরু করে দেন বিজেপি সাংসদরা। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্ত্রীকে তাঁর বিবৃতি টেবিলে রাখতে বলে দিনের মতো অধিবেশন মুলতবি করে দেন। এ দিকে শান্তনুর অভিযোগ, ওই ঘটনার পর আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী তার সঙ্গে দৃষ্টিকটু ভাবে অশালীন আচরণ করেন, এমনকি তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়। এই নিয়ে পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান তৃণমূল সাংসদরা। সূত্রের খবর, শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনতে চলেছে কেন্দ্র। স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের রয়েছে। এককভাবে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন অথবা রাজ্যসভার প্রিভিলেজ কমিটির কাছে বিষয়টি বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রিভিলেজ কমিটির কাছে হাজিরা দিতে হবে শান্তনুকে। যা বিড়ম্বনার বিষয়। অতীতে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশে শাস্তির মুখে পড়েছেন একাধিক সংসদ। সংসদের কক্ষে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনায় একসঙ্গে সাতজন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুরো ঘটনায় বেশ চাপে রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।